ভূমিদস্যু, সন্ত্রাসী আব্দুর রাজ্জাকের বিরুদ্ধে অভিযোগ নেয় না পুলিশ
মোঃ আরমান হোসেন (দিনাজপুর) ♦ নাবালক ও এতিম অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে দিনাজপুরের বিরলে পৈতৃক সূত্রে প্রাপ্ত ৩৬ শতক জমি দখল করে নিচ্ছে ভূমিদস্যু সন্ত্রাসী আব্দুর রাজ্জাক গং। দখলের প্রতিবাদ করায় সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে আহত করেছে ১০ জনকে।
সকালে দিনাজপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উপরোক্ত অভিযোগ করেন দিনাজপুর বিরল উপজেলার মুরাদপুর (ডাঙ্গাপাড়া) গ্রামের মৃত আবদুল মালেকের পুত্র মোঃ ফরহাদ হোসেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন গত ১৬ এপ্রিল বিকেলে ভূমিদস্যু সন্ত্রাসী আব্দুর রাজ্জাক,হাসান আলী, কোরবান আলী, মতিয়ার রহমান ,মিজানুর রহমান ও ওমর আলীসহ অজ্ঞাত ৭০-৮০ জন সন্ত্রাসী দা-কুড়াল লাঠিসোটাসহ উল্লেখিত জমিতে জোরপূর্বক ইট দিয়ে ঘরবাড়ি নির্মাণ শুরু করে। এসব দেখে আমরা বাধা দিলে সন্ত্রাসীরা এলোপাথাড়ি সবাইকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করেছে। আহতদের আত্মচিৎকারে স্থানীয়রা উদ্ধার করে প্রথমে বিরল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩জনকে ভর্তি করে এবং পরবর্তীতে আরো ৪জনকে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদের মধ্যে দুই জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
ঘটনার পর সুবিচারের আশায় বিরল থানায় মামলা করতে গেলে ওসি বিরল ভূমিদস্যু ও সন্ত্রাসী আব্দুর রাজ্জাকের কথামতো আমাদের মামলা গ্রহণ না করে উল্টো আমাদের দুই ভাইকেই আটক করে। পরে ওই দিনই আগের তারিখ দেখিয়ে সন্ত্রাসী আব্দুর রাজ্জাকের পিতা মোঃ আশরাফ আলীর দায়ের করা মিথ্যা বানোয়াট ও ভুয়া মামলায় আমাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
এরপর থেকে সন্ত্রাসী রাজ্জাকের কথা মতো বিভিন্ন অজুহাতে ও মামলার ভয় দেখিয়ে পুলিশি হয়রানি অব্যাহত রয়েছে। আমাদের অভিযোগ বিরল থানা পুলিশ গ্রহণ না করলেও ভূমিদস্যু ও সন্ত্রাসী আব্দুর রাজ্জাকের অবৈধ টাকা ও অদৃশ্য শক্তির ইশারায় আমাদের পরিবারের সকল সদস্যের বিরুদ্ধে আরও মামলা দায়ের করেছে।
লিখিত বক্তব্যে আরও বলেন, আব্দুর রাজ্জাক নিজেকে দিনাজপুর পৌরসভার প্রধান প্রকৌশলীর পরিচয় দিয়ে প্রভাব খাটিয়ে চলেছে হুমকি দিচ্ছে বড় বড় নেতা,অফিসার ও সন্ত্রাসীরা তার পকেটে। সে যখন যা ইচ্ছা তাই করতে পারবে। আমরা খবর নিয়ে দেখেছি সত্যিকার অর্থে সে দিনাজপুর পৌরসভার একজন উপসহকারী প্রকৌশলী।
মোঃ ফরহাদ হোসেন জানান, গত ১৮ তারিখ তার বোন শেফালী বেগম নিজ জমিতে বালু ও মাটি ভরাট করে দোকান ঘর নির্মাণের সময় ভূমিদস্যু সন্ত্রাসী আব্দুর রাজ্জাক এবং তার দলবল ৩ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। টাকা দিতে অস্বীকার করায় দা-কুড়াল লাঠিসোটা ও চোরা নিয়ে বোনজামাই মোহাম্মদ আলম এর উপর হামলা চালায় এবং এলোপাতাড়ি মারধর করেছে। তাদের সন্ত্রাসী হামলার ভয়ে আমরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি এবং মিথ্যা বানোয়াট মামলায় গ্রেপ্তার এড়াতে বাড়ি ছাড়া হয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছি। করোনাকালীন সময়ও বাড়িতে ঘুমাতে পারছিনা আমরা প্রশাসনের কাছে জমি ও জীবনের নিরাপত্তা দাবি করছি।
সংবাদ সম্মেলনে সন্ত্রাসী হামলার শিকার মর্জিনা বেগম, নুরনেহার,সুমি, সেরাজুল ইসলাম, মোঃ আলম ও ফিরোজ হোসেনসহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।