সকালে বিয়ে, বিকেলে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা

মেয়ের পছন্দমতো ছেলে সাথে বিয়ে দেয়া হয়েছিলো দাবি মায়ের

সকালে বিয়ে, বিকেলে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা
ছবি: সংগৃহীত

নিউজডোর ডেস্ক ♦ পরিবারের মতামতে সকালে কোর্টে বিয়ে হয় সাতক্ষীরার ঊষা খাতুনের (১৯)। আর বিকেলে অজানা কারণে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন কলেজ পড়ুয়া ঊষা। এমনটাই জানিয়েছেন ঊষার নানি আনেরা বেগম।

গতকাল রোববার (১৯ জুন) কলারোয়া উপজেলার হেলাতলা ইউনিয়নের রঘুনাথপুর পূবপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান।

আত্মহননকারী ওই শিক্ষার্থী ঊষা রঘুনাথপুর পূর্বপাড়া এলাকার আমের আলী ও শাহানারা বেগমের বড় কন্যা।

মেয়ের নানি আনেরা বেগম গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, উষা বাবা-মায়েল সাথে ঢাকায় থেকে সেখানেই লেখাপড়া করত। গত পরশু ঊষা এবং তার মা বাড়িতে এসেছে। সকলের পছন্দের ছেলে সঙ্গে সকালে সাতক্ষীরার কোর্টে ঊষার বিয়ে হয়। ওখান থেকে বাসায় এসে ঘরে ফ্যানের সঙ্গে শাড়ি বেঁধে গলা ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে আমার নাতনী।

ঘটনার তদন্তকারী কর্মকর্তা কলারোয়া থানার এসআই অনীল মূখার্জী বলেন, রোববার সকালে একই উপজেলার সুমন নামে এক যুবকের সাথে বিয়ে হয় ঊষার খাতুনের। আনুষ্ঠানিকভাবে বাড়িতে নেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে সুমন তাঁর নববিবাহিতা স্ত্রী তার বাবার বাড়িতে রেখে যান। বাড়িতে ফেরার পর ঊষা তার দাদির সঙ্গে সামান্য বিতর্কে জড়ান। এরপর নিজ ঘরে গিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।

ঊষার মা শাহানারা বেগম বলেন, মেয়ের পছন্দমতো ছেলের সাথেই আমরা বিয়ে দিয়েছি। সকালে সে খুব হাসিখুশিও ছিল। কী কারণে সে আত্মহত্যা করল তা আমরা কেউ জানি না।

কলারোয়া থানার ওসি (ভারপ্রাপ্ত) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, পরিবার থেকে এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোন অভিযোগ করা হয়নি। অভিযোগ করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।