রংপুরে তিস্তার চরে ১০ হেক্টর আমনের ক্ষতি
স্টাফ রিপোর্টার ♦ উজানের পাহাড়ী ঢলে রংপুরে বৃদ্ধি পাওয়া তিস্তা নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। ফলে তিস্তা তীরবর্তী এলাকায় নদী ভাঙনে আতঙ্কে ভুগছে মানুষজন। অনেকে বাড়ি-ঘর সরিয়ে অন্যত্র নিয়ে যাচ্ছে। বিপদসীমার নিচে নেমে এসেছে তিস্তার ডালিয়া ও কাউনিয়া পয়েন্টের পানি।
এদিকে গঙ্গাচড়া উপজেলার লহ্মীটারী ইউনিয়নের পশ্চিম ইচলী গ্রামের স্বেচ্ছাসেবক বাঁধের আড়াই’শ ফুট অংশ ভেঙ্গে গেছে। এতে করে পশ্চিম ইচলী’র আবুল কালাম (৪০), রাজ্জাক (৪২), আব্দুর রহমানের (৪৫) বাড়ি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। নষ্ট হয়ে গেছে ১০ হেক্টর আমনের ক্ষেত। হুমকির মুখে রয়েছে ২টি মন্দির, একটি ঈদগাহ মাঠ ও ৪০ থেকে ৫০টি ঘরবাড়ি।
গঙ্গাচড়া লহ্মীটারী পশ্চিম ইচলী গ্রামের কৃষক আবুল কাশেম, মজিবুর রহমান, বিমল চন্দ্র্র রায়সহ অন্যান্যরা বলেন, আমরা বছরে একবারই আমন ধান আবাদ করি। এছাড়া আমরা অন্য কোনও আবাদ করার সুযোগ পাই না। এবার এই বন্যার কারণে সেই আমনও মাটির তলে চলি গ্যাছে। পরিবারের খাদ্যের যোগান যে আবাদ থেকে আসে তা মাটির নিচে। এখন সরকারি সহযোগিতা না পেলে আমাদের পথে বসতে হবে।
গঙ্গাচড়া লহ্মীটারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল হাদী বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাছে আমরা দীর্ঘদিন ধরে বিনবিনা থেকে চর শংকরদহ পর্যন্ত একটি বাঁধের দাবী জানিয়ে আসছি। কিন্তু পানি উন্নয়ন বোর্ড আশ্বাস দিয়েও এ কাজ করেনি। পরবর্তীতে আমরা স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে একটি বালু’র বাঁধ দিয়ে কয়েক বছর চরবাসী ও ফসলী জমিকে বন্যার হাত থেকে রক্ষা করেছি। ইতোমধ্যে তিস্তার তীব্র স্রোতে সেই বাঁধটি ভেঙ্গে যায়। এতে করে এলাকার ৩টি বাড়ি নদীতে বিলীন হওয়াসহ একরের পর একর আমনের ক্ষেত নষ্ট হয়েছে। হুমকির মুখে রয়েছে দুটি মন্দিরও।
গঙ্গাচড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদ তামান্না বলেন, পশ্চিম ইচলীকে ভাঙ্গনের হাত থেকে রক্ষার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জানানো হয়েছে। বন্যা-ভাঙ্গন থেকে উপজেলার মানুষকে রক্ষায় উপজেলা প্রশাসন তৎপর রয়েছে।