সংগ্রহের প্রথম দিনে রংপুরে  হাড়িভাঙ্গা আমে সয়লাব হাট-বাজার

কৃষি কামের চেয়ে আম বিক্রিতে লাভ বেশি, বলছেন বিক্রেতা

সংগ্রহের প্রথম দিনে রংপুরে  হাড়িভাঙ্গা আমে সয়লাব হাট-বাজার

স্টাফ রিপোর্টার ♦ সংগ্রহের প্রথম দিনে রংপুরে হাড়িভাঙ্গা আমে সয়লাব হয়েছে হাট-বাজার। শহরের অলি-গলিতেও ভ্যানে-সাইকেলে করে আম বিক্রি করেছেন মৌসুমী বিক্রেতারা। রংপুর নগরীর ব্যস্ততম এলাকা জাহাজ কোম্পানী মোড়। এখানে সাইকেলে করে হাড়িভাঙ্গা আম বিক্রি করছেন রবিউল ইসলাম। তার সাইকেলের ক্যারিয়ার আর সিটের সামনে রডে রাখা দুটি ডালিতে দুই মন আম। তিনি এসেছেন হাড়িভাঙ্গার রাজধানী মিঠাপুকুরের পদাগঞ্জ থেকে। তিনি বলেন, এমনি সমায় কৃষি কাম করি। আমের মৌসুম শুরু হইছে। এ্যালা কয়েক মাস আম বেচামো। কৃষি কামের চেয়ে আম বিক্রিতে লাভ বেশি। তিন মন আম নিয়া আসছি। মাঝারী গুলা ৫০ থ্যাকি ৫৫ টাকা আর বড় গুলা ৭০ টাকা বেচাইতোছি। তোমরা যদি পারেন দাম একটা বাড়ে লেখি দেন। হাড়িভাঙ্গা আমের ক্রেতা সুজন মিয়া বলেন, হাড়িভাঙ্গার জন্য রংপুরসহ গোটা দেশবাসী এক বছর অপেক্ষায় থাকেন। সরকারিভাবে যেহেতু শনিবার থেকে আম বিক্রি শুরু হয়েছে তাই প্রথম দিনে আমি আম কিনলাম। বড় সাইজের আম ৬০ টাকা কেজি দরে কিনতে পেরেছি। তবে রাস্তায় বিক্রি করা বেশিরভাগ ভ্রাম্যমান ব্যবসায়ীদের মাঝে ছোট সাইজের আম। অপরদিকে মিঠাপুকুরের খোড়াগাছ ইউনিয়নের পদাগঞ্জহাট, পাইকারের হাট, শুকরের হাট, রংপুর সদরের পালিচড়ার হাট, রংপুর নগরীর বাস টার্মিনাল হাটে হাড়িভাঙ্গা আম উঠেছে। এসব হাটে হাড়িভাঙ্গা আম মন প্রতি ২ হাজার টাকা থেকে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে। ক্রেতা ও ব্যবসায়ীরা ভিড় জমিয়েছেন হাটগুলোতে। বাস টার্মিনালে হাড়িভাঙ্গা আম ব্যবসায়ী আক্তারুল ও শফিকুল ইসলাম বলেন, টার্মিনাল হাটে ২৫টির মত আমের দোকান বসেছে। প্রথম দিনে বেচা বিক্রি ভালোই হচ্ছে। বর্তমানে আমের সাইজ অনুযায়ী ২ হাজার থেকে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত মন আম বিক্রি হচ্ছে। উল্লেখ্য, রংপুর জেলায় এবার এক হাজার ৯০৫ হেক্টর জমিতে হাড়িভাঙ্গা আমের বাগান রয়েছে। এ বছর হাড়িভাঙ্গা আমের ফলন হয়েছে ২৯ হাজার ৭১০ মেট্রিক টন। হেক্টর প্রতি গড় ফলন হয়েছে ১৫ দশমিক ৬ মেট্রিক টন। এ বছর হাড়িভাঙ্গা আমের বাণিজ্য ২’শ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে আশা কৃষি বিভাগের।