কখন রোজা ভাঙ্গতে পারবেন?
নিউজডোর ডেস্ক ♦ ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা অধীর অপেক্ষায় থাকে পবিত্র রমজান মাসের জন্য। এই মাস নামাজ ও সিয়ামের মাধ্যমে আল্লাহ তা’য়ালার সন্তুষ্টি ও ক্ষমা পাওয়ার উত্তম মাস।
রোজা প্রত্যেক বিবেকবান, প্রাপ্তবয়স্ক মুসলিম নর-নারীর জন্য একটি ফরজ বিধান। শরিয়ত সমর্থিত কোনো কারণ ছাড়া রোজা ভঙ্গ করা গুনাহ।
তাই একজন মুক্তিকামী মুমিনের জন্য জরুরী যে, পার্থিব কাজকর্ম, চাকরি, কৃষিকাজ, পেশাগত কাজ ইত্যাদিকে রোজা ভঙ্গ বা রোজা থেকে দূরে থাকার অজুহাত হিসেবে ব্যবহার না করা।
বরং কষ্ট হলেও ধৈর্যের সাথে রোজা রাখা। আল্লাহ তায়ালা আখিরাতে এই কষ্টের জন্য অনেক বড় প্রতিদান দেবেন। সাহাবায়ে কেরাম আরবের উত্তপ্ত মরুভূমিতে কাজ করেছেন, জীবনের প্রয়োজনে অনেক কষ্ট করেছেন কিন্তু রোজা ভঙ্গ করেননি।
তবে কিছু কারণে আপনি রোজা ভঙ্গ করতে পারেন। জেনে নিন সেগুলো:
- রোজাদার যদি এতটাই দুর্বল হয়ে পড়ে যে রোজা রাখার শক্তি না থাকে, তাহলে রোজা রাখতে থাকলে শারীরিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। (ফাতাওয়ায়েহ শামীঃ ২/৪২২)
- ক্ষুধা বা তৃষ্ণা যা উপবাসকে খুব কঠিন বা জীবনের জন্য হুমকিস্বরূপ করে তোলে। (ফাতাওয়া হিন্দিয়া: ১/২০৭
- যদি সে এতটাই অসুস্থ হয়ে পড়ে যে তার রোজা রাখার শক্তি নেই বা রোজা রাখলে অসুস্থতা আরও বেড়ে যায়, তাহলে তার জন্য রোজা না রাখা জায়েজ। (আল মুহীতুল বুরহানী: ৩/৩৫৯; আদ্দুররুল মুখতার: ২/৪২২)
- ইসলামে মুসাফিরদের রোজা না রাখা জায়েজ। অস্বাভাবিক ব্যথা না থাকলে রোজা রাখা উত্তম। তবে ভ্রমণের সময় রোজা রাখা শুরু করলে তা ভঙ্গ করা আর জায়েয হবে না। কিন্তু তৃষ্ণার কারণে মৃত্যুর আশঙ্কা থাকলে রোজা ভেঙ্গে যেতে পারে। (ফাতাওয়া তাতারখানিয়াঃ ৩/৪০৩; রদ্দুল মুখতারঃ ২/৪৩১)
- গর্ভবতী বা স্তন্যদানকারী মহিলা যদি নিজের বা সন্তানের মৃত্যুর আশঙ্কা করেন, তবে তিনি রোজা ভঙ্গ করতে পারেন। (ফাতাওয়া হিন্দিয়াঃ ১/২০৭)
- আল্লাহ তায়ালা আমাদের সুস্থতার পাশাপাশি সব রোজা সঠিকভাবে পালন করার তাওফিক দান করুন।