চলন্ত বাস থেকে লাথি মেরে শিক্ষার্থী হত্যার অভিযোগ, সড়ক অবরোধ

মাত্র পাঁচটাকার ভাড়ার জন্যে শিক্ষার্থীকে লাথি মারা হয়

চলন্ত বাস থেকে লাথি মেরে শিক্ষার্থী হত্যার অভিযোগ, সড়ক অবরোধ
ছবি: সমকালের

নিউজডোর ডেস্ক ♦ বেলাবতে চলন্ত বাস থেকে লাথি মেরে চাকার নিচে ফেলে হত্যার অভিযোগে বিক্ষোভ ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) বিকেলে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বারৈচা বাসস্ট্যান্ডে শত শত শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী উপস্থিত হয়ে বিক্ষোভ ও মহাসড়ক অবরোধ করেন।

জানা যায়, গত ৬ অক্টোবর রাতে স্কুলছাত্র আতিকুল ইসলাম ও তার সহপাঠীরা নরসিংদী থেকে যাতায়াত পরিবহন বাসে করে বাড়িতে আসার পথে ভাড়া সংক্রান্ত বিষয়ে চালক-কন্ডাক্টর-হেলপারের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার চরউজিলাব ইউনিয়নের বারৈচা বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছালে গাড়ির ভেতর থেকে আতিকুল ইসলামকে লাথি মেরে ফেলে দেয় কন্ডাক্টর ও হেলপার। এসময় চালক আতিকুলের উপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে দিলে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তার। পরে এলাকাবাসীর সহায়তায় ভৈরব হাইওয়ে পুলিশ বাসটি আটক করে।

নিহত আতিকুল ইসলাম পার্শ্ববর্তী রায়পুরা উপজেলার উত্তর বাখরনগর ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের জামাল মিয়ার ছেলে ও উত্তর বাখরনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেনির ছাত্র।

বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করে রাখার কারণে মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায় এবং উভয়পাশে পাঁচ কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়।

ভৈরব থানা পুলিশ, স্থানীয় গণমান্য ব্যক্তিরা ঘটনাস্থলে গিয়ে বিক্ষোভকারীদের দাবির সঙ্গে একমত হয়ে অবরোধ তুলে নিতে অনুরোধ করেন।

বিক্ষোভে অংশ নেওয়া আতিকুল ইসরামের এক সহপাঠী বলেন, মাত্র পাঁচটাকার জন্যে আতিকুলকে বাস থেকে লাথি দিয়ে ফেলে হত্যা করে বাস চালক ও তার সহকারীরা। সি টিভি ফুটেজ তার প্রমাণ। আমরা এ হত্যার বিচার দাবি করছি। সেই সঙ্গে আতিকুলের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ এবং ফুট ওভার ব্রিজ নির্মাণের জোর দাবি জানাচ্ছি।