কোভিড চ্যালেঞ্জেও ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকরা আলু রপ্তানীতে এগিয়ে
স্টাফ রিপোর্টার ♦ কঠোর স্বাস্থ্যবিধি এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে আলু উৎপাদনকারী, রপ্তানীকারক, সরকারি কর্মকর্তা এবং এফএও বাংলাদেশের প্রতিনিধিবৃন্দ রবিবার (৩ এপ্রিল) সকালে রংপুর অঞ্চলের মিঠাপুকুরের পায়রাবন্দে এই বছরের আলু রপ্তানী উদ্বোধন করেছে।
জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও), কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন এবং সারাবাংলা কৃষক সোসাইটি যৌথভাবে এই কর্মসূচি আয়োজন করেছে। আলু চাষীরা কোভিড ১৯ মহামারির দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যে এই বছর তাদের ফসল উত্তোলন করেছে।
এফএওর সিনিয়র এ্যাডভাইজার মাহমুদ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মেসবাহুল ইসলাম।
এসময় আরও বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান ড. অমিতাভ সরকার, বাংলাদেশ গম ও ভ‚ট্টা গবেষনা ইন্সটিটিউটের মহাপরিচালক ড. এছরাইল হোসেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক খন্দকার ওয়াহেদ, রংপুর জেলা প্রশাসক আসিব আহসান ও সারা বাংলা কৃষক সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল হক সর্দারসহ অন্যরা।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মেসবাহুল ইসলাম বলেন, আমাদেরকে এখন উদ্বৃত্ত আলুনিয়ে কাজ করতে হবে। আমাদের রপ্তানী প্রতিযোগিতা বাড়াতে হবে এবং রপ্তানী ও প্রক্রিয়াজাতকরণের উপযোগী জাত উদ্ভাবিত করতে হবে। এফএও এই খাতকে আরও শক্তিশালীকরণের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশে এফএও প্রতিনিধি জনাব রবার্ট সিম্পসন বলেন, ‘এফএও রপ্তানীর পাশাপাশি দেশীয় ভোক্তাদের জন্য মানসম্পন্ন আলু উৎপাদন ও প্রক্রিয়াজাতকরণে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের সহায়তা করার জন্য তাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে। উৎপাদনকারী সংগঠন এখানে মূখ্য, খাবার এবং বীজ আলুর ল্যাব স্থাপনের পাশাপাশি খামার স্তরের স্টোরেজ সুবিধা স্থাপনে বেসরকারি খাতকে নিযুক্ত করে চলেছে। ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের উন্নতি কল্পে এই অংশীদারিত্ব এবং কোভিড মহামারীর উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও গ্রামীণ জীবন-জীবিকা নিশ্চিত করার সম্ভাবনা দেখে উদ্বুদ্ধ হয়েছেন অনুষ্ঠানের অংশগ্রহণকারীরা। এবছর ২ লাখ মেট্টিক টন আলু বিদেশে রপ্তানী করার লক্ষ নেয়া হয়েছে বলে সচিব জানান।
রংপুরের পীরগাছা উপজেলার বিরহিম আলু উৎপাদনকারী দলের সভাপতি মোকসেদুল বলেন, ‘প্রতিবছর আলুর মৌসুমে দাম ওঠানামা করলেও আমাদের কৃষকরা রপ্তানীকারকদের কাছ থেকে নগদে ন্যায্য দাম পাচ্ছেন।’ বাংলাদেশ প্রতিবছর ১ কোটি ১০ লক্ষ মেট্রিক টনের বেশি আলু উৎপাদন করে, যার মধ্যে প্রায় ৪০ লক্ষ মেট্রিক টন উদ্বৃত্ত। এই উদ্বৃত্ত আলুব্যবহারের উপায় বের করার সাথে মূল্যসংযোজন ধারায় সম্পৃক্ত কৃষক এবং অন্যদের জন্য বিশাল সমৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। এর গুরুত্ব সম্পর্কে কৃষিমন্ত্রনালয় ভালোভাবে অবহিত রয়েছে।