১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে রংপুর জেলাকে পিরানহা মুক্ত করার ঘোষনা 

১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে রংপুর জেলাকে পিরানহা মুক্ত করার ঘোষনা 

স্টাফ রিপোর্টার ♦ রংপুর জেলাকে পিরানহা মুক্ত করতে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে মৎস বিভাগ। মুজিব বর্ষে আগামী ১৬ই ডিসেম্বরের মধ্যে জেলাকে পিরানহামুক্ত করা হবে। এ লক্ষ্যে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা, সচেতনতামূলক সভাসহ নানা কর্মকান্ড পরিচালনা করা হবে। সোমবার বিকেলে রংপুর জেলা মৎস কর্মকর্তার কার্যালয় মিলনায়তনে মিঠাপুকুর মৎস প্রডিউসার অর্গানাইজেশনের কাছে পিআপ হস্তান্তর অনুষ্ঠানে এ উদ্যোগের কথা জানায় মৎস বিভাগ।

বক্তারা বলেন, জলজ পরিবেশের সঙ্গে পিরানহা মাছ সংগতিপূর্ণ নয়।এগুলো রাক্ষুসে স্বভাবের। অন্য মাছ ও জলজ প্রাণীদের খেয়ে ফেলে। দেশীয় প্রজাতির মাছ তথা জীববৈচিত্র্যের জন্য এগুলো হুমকি স্বরুপ। এ কারণে সরকার ও মৎস অধিদপ্তর পিরানহা মাছের পোনা উৎপাদন, চাষ, বাজারে ক্রয়-বিক্রয় সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করেছে।

জেলা মৎস কর্মকর্তা বরুন চন্দ্র বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, জেলা প্রশাসক আসিব আহসান। বিশেষ অতিথি ছিলেন, ইউনিয়ন পর্যায়ে মৎস চাষ প্রযুক্তি সেবা সম্প্রসারণ প্রকল্পের (২য় পর্যায়) উপ-প্রকল্প পরিচালক বদরুজ্জামান মানিক। রংপুর জেলায় মৎস চাষের বর্তমান অবস্থা, ভবিষ্যত পরিকল্পনা নিয়ে একটি মাল্টিমিডিয়া উপস্থাপনা শেষে মিঠাপুকুর মৎস প্রডিউসার অর্গানাইজেশনের কাছে পিকআপের চাবি হস্তান্তর করেন অতিথিরা। রংপুর জেলার উৎপাদিত মাছের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করাসহ পরিবহনের সুবিধার্থে এনএটিপি-২ মৎস অধিদপ্তরের আওতায় এগ্রিকালচারাল ইনোভেশন ফান্ড-৩ অনুদানপ্রাপ্ত ‘মাছ পরিবহনের জন্য পিকআপ ক্রয় ও পরিচালনা’ উপ-প্রকল্পের আওতায় এ পিকআপ হস্তান্তর হয়।