রংপুরের চরাঞ্চলের কৃষকের কাছে সেচ সুবিধা পৌঁছে দেয়ার তাগিদ 

রংপুরের চরাঞ্চলের কৃষকের কাছে সেচ সুবিধা পৌঁছে দেয়ার তাগিদ 

এহসানুল হক সুমন ♦  রংপুরের চরাঞ্চলে খাদ্যশস্য উৎপাদন বৃদ্ধিতে কৃষকের কাছে সেচ সুবিধা পৌঁছে দেয়ার তাগিদ দিয়েছেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোঃ মেসবাহুল ইসলাম।
তিনি বলেন, রংপুরের ধু-ধু বালুচরে কৃষকরা মিস্টিকুমড়া, ক্যাপসিকাম, মরিচ, পেঁয়াজ, শালগমসহ নানা ফসল উৎপাদন করছেন। শুধুমাত্র সেচের সুবিধা দিতে পারলে তারা অনেক খাদ্যশস্য উৎপাদন করে গোটা দেশে সরবরাহ করতে পারবে। চরে ফসল উৎপাদনের প্রতিকূলতা কাটিয়ে কৃষকের উদ্ভাবনী চিন্তাধারাকে উৎসাহিত করতে কৃষি বিভাগকে কাজ করতে হবে। 

শনিবার বিকেলে রংপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয় সম্মেলন কক্ষে বিএমডিএ’র ভূ-উপরিস্থ পানির সর্বোত্তম ব্যবহার ও বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের মাধ্যমে বৃহত্তর রংপুর জেলার সেচ সম্প্রসারণ (ইআইআরপি)’ শীর্ষক প্রকল্পের কার্যক্রম নিয়ে অবহিতকরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

সিনিয়র সচিব বলেন, আমরা ২০৩০ সালের মধ্যে কৃষকের আয় দ্বিগুন করতে কাজ করে যাচ্ছি। এজন্য কৃষকের দোড়গোড়ায় সেচ সুবিধাসহ কৃষকদের স্বার্থে গৃহীত সরকারের সকল সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। এর মধ্যে সেচ খাতে আরও বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। উত্তরাঞ্চল গোটা দেশে খাদ্যশস্য পাঠালেও বর্তমানে কিছু কিছু এলাকায় ভূ-গর্ভস্থ পানির সংকট দেখা দিয়েছে। এ থেকে উত্তোরণে সকলকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।  

বরেন্দ্র বহুমূখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ড. মোঃ আকরাম হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন, রংপুর বিভাগীয় কমিশনার আবদুল ওয়াহাব ভূঞা, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ আসাদুজ্জামান, বিএমডিএ’র নির্বাহী পরিচালক মোঃ আব্দুর রশিদ, রংপুর সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও ইআইআরপি প্রকল্পের পরিচালক মোঃ হাবিবুর রহমান খানসহ অন্যরা। 
সভায় রংপুর বিভাগের ৮ জেলার জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা চেয়ারম্যান, পৌরসভা মেয়র, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, কৃষক ও সাংবাদিকরা অংশ নেন।