রংপুর সিটি নির্বাচন: ২ নং ওয়ার্ডে কোনও প্রার্থীর বিরুদ্ধে মামলা নেই

পাঁচজন প্রাথী লড়ছেন এবার ২ নং ওয়ার্ডে

রংপুর সিটি নির্বাচন: ২ নং ওয়ার্ডে কোনও প্রার্থীর বিরুদ্ধে মামলা নেই

নভেল চৌধুরী ♦  আগামী ২৭ ডিসেম্বর রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন। এ নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের হলফনামা ইতোমধ্যেই প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ২ নং ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে লড়ছেন পাঁচজন প্রার্থী। 
পাঁচ প্রার্থীর মধ্যে আবুল কালাম আজাদ লড়ছেন ঘুড়ি প্রতীক নিয়ে। তিনি এম এ পাশ করেছেন। তার বিরুদ্ধে আদালতে কোনও মামলা নেই। তিনি পেশায় একজন শিক্ষক। তার হলফনামা ঘেটে জানা গেছে, তিনি বাৎসরিক কৃষিখাত থেকে ৫০ হাজার টাকা, শিক্ষকতা পেশা থেকে ৪ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা আয় করেন।এছাড়াও তার স্ত্রী বছরে ৫ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা আয় করেন । 
তার অস্থাবর সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে, নিজ নামে  নগদ ১ লক্ষ টাকা এবং তার স্ত্রীর রয়েছে ১ লক্ষ টাকা। ব্যাংকে তার স্ত্রীর নামে জমা রয়েছে আরও ১ লক্ষ টাকা। এছাড়া প্রার্থী আবুল কালামের একটি মোটর সাইকেল এবং একটি জীপ গাড়িও রয়েছে। তার স্ত্রীর ১২ ভরি স্বর্ণালঙ্কার রয়েছে। স্থাবর সম্পত্তির মধ্যে নিজ নামে কৃষি জমি রয়েছে ৩ একর, স্ত্রীর নামে ১৩ শতক এবং যৌথ মালিকানায় নিজের জমির পরিমাণ সাড়ে ১৭ শতক। তার নামে অকৃষি জমি রয়েছে সোয়া ৮ শতক এবং যৌথ মালিকানা নিজের অংশ রয়েছে ২ শতক। তার একটি ৩ তলা বিশিষ্ট বাড়িও রয়েছে।
আরেক প্রার্থী এজওয়ানুলর হক সাজু লড়ছেন লাটিম প্রতীক নিয়ে। তিনি অষ্টম শ্রেনি পাশ। তার নামে কোনও মামলা নেই। তিনি বছরে কৃষিখাতে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা, ব্যবসা খাতে ২ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা আয় করেন। তার অস্থাবর সম্পদের মধ্যে নগদ ১ লক্ষ টাকা, ব্যাংকে জমা ২ লক্ষ টাকা রয়েছে। এছাড়াও তার একটি মোটর সাইকেল এবং তার স্ত্রীর ৮৮ হাজার টাকার মূল্যের স্বর্ণালঙ্কার রয়েছে। এজওয়ানুলর হক সাজুর স্থাবর সম্পদের মধ্যে কৃষি জমি ৩৩০ শতক, অকৃষি জমি ২১ শতক এবং একটি বাড়ি রয়েছে।
আরেক প্রার্থী এমবিএস পাশ মো. গোলাম সারওয়ার মির্জা করাত প্রতীক নিয়ে লড়ছেন । তার বিরুদ্ধে কোনও মামলা নেই। তিনি পেশায় একজন চাকরিজীবী। তিনি বার্ষিক কৃষি খাতে ৩০ হাজার টাকা, ব্যবসা খাতে ১ লক্ষ ৪ হাজার টাকা এবং চাকরি করে ২ লক্ষ ৪৬ হাজার টাকা আয় করেন। এছাড়াও তার অস্থাবর সম্পত্তি নগদ ১ লক্ষ ও ব্যাংকে রয়েছে ১ লক্ষ টাকা। তার একটি মোটর সাইকেল রয়েছে এবং তার স্ত্রীর ৩ ভরি স্বর্ণালঙ্কার রয়েছে। তার স্থাবর সম্পদের মধ্যে কৃষি জমি ২০ শতক এবং অকৃষি জমি ৬৫ শতক রয়েছে । তার একটি টিনশেড পাকাবাড়ি রয়েছে।
আরেক প্রার্থী মো. আনাস লড়ছেন ট্রাক্টর প্রতীক নিয়ে। তিনি ফাজিল পাশ করে ব্যবসা করছেন। তার নামে কোনও মামলা নেই।  তার কৃষিখাতে কোনও আয় না থাকলেও তিনি ব্যবসা খাতে বার্ষিক ২ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা আয় করেন। অস্থাবর সম্পদের মধ্যে রয়েছে  নগদ ১০ হাজার টাকা এবং ব্যাংকে জমা রয়েছে ১০ হাজার টাকা। তার স্থাবর সম্পদের মধ্যে রয়েছে ৮ শতক অকৃষি জমি এবং একটি টিনশেড বাড়ি।
অন্যদিকে আরেক প্রার্থী সনজিৎ মহন্ত লড়ছেন মিষ্টি কুমড়া প্রতীক নিয়ে। তিনি এইচএসসি পাশ করে ব্যবসা করছেন। তার নামে কোনও মামলা নেই। তিনি কৃষিখাতে বছরে ১ লক্ষ টাকা আয় এবং ব্যবসাখাতে ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা আয় করেন । সনজিৎ মহন্তের অস্থাবর সম্পদের মধ্যে রয়েছে নগদ ১০ হাজার টাকা, ব্যাংকে রয়েছে ১ হাজার ৫’শ টাকা। তার একটি মোটর সাইকেল রয়েছে এবং তার স্ত্রীর ২৫ ভরি স্বর্ণালঙ্কার রয়েছে।