গঙ্গাচড়ায় নববধূ জেসমিন হত্যার আসামিদের দ্রুত গ্রেফতারে সংবাদ সম্মেলন

গঙ্গাচড়ায় নববধূ জেসমিন হত্যার আসামিদের দ্রুত গ্রেফতারে সংবাদ সম্মেলন
জেসমিন হত্যার প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন, অন্য আসামিদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে জেসমিনের ভাই মহুবার রহমান মধু ও এলাকার সুশিল সমাজের প্রতিনিধিরা।

গঙ্গাচড়া ( রংপুর) প্রতিনিধি ♦ রংপুরের গঙ্গাচড়ায় চাঞ্চল্যকর জেসমিন হত্যা মামলায় মূল আসামিকে গ্রেপ্তার করা হলেও অন্য আসামিদের গত ২০ দিনেও গ্রেপ্তার করতে পারেনি থানা পুলিশ। এই ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে পরিবারের সদস্য এবং এলাকাবাসী।
শুক্রবার বিকেলে জেসমিন হত্যার প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন, অন্য আসামিদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে জেসমিনের ভাই মহুবার রহমান মধু ও এলাকার সুশিল সমাজের প্রতিনিধিরা। সংবাদ সন্মেলনে জানানো হয় এ বছর জানুয়ারি মাসে জেসমিনের সঙ্গে বিয়ে হয়  উপজেলার সদর ইউনিয়নের নিলকচন্ডি গ্রামের হোসেন আলীর ছেলে আসামি মোতালেব মিয়ার।
স্বামীর বাড়ি থেকে গত ৬ মে তারিখে জেসমিন অটোরিক্সা যোগে বিকেল সাড়ে ৩ টার দিকে বাবার বাড়িতে আসে। সে তার পরিবারকে জানায় তার স্বামী ঈদ উপলক্ষ্যে ৫ হাজার টাকা চেয়েছে। সামর্থ্য অনুযায়ী ১ হাজার টাকা জেসমিনের হাতে দিয়ে পরদিন বিকেল ৫ টার দিকে অটোরিক্সাযোগে শশুরালয়ে পাঠিয়ে দেয় তার বড় ভাই। ঘটনার দিন গত ৯ মে সকালে সেখানে বেড়াতে যাওয়া মামাতো বোন মুঠোফোনে জানান, জেসমিন মারা গেছে। খবর পেয়ে ছুটে গেলে দেখা যায় জেসমিনের নিথর দেহ মাটিতে পরে আছে। তার দেহের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
এ ঘটনায় জেসমিনের বড় ভাই মহুবার রহমান মধু বাদী হয়ে গঙ্গাচড়া মডেল থানায় মামলা দায়ের করলে স্বামী মোতালেবকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। কিন্তু এজাহারভূক্ত অন্য আরও তিনজন আসামিকে এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার করতে না পারায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে এলাকাবাসী। তাই শুক্রবার বিকেলে বুড়িরহাট  বাজারে ফাইম হোটেলের সামনে জেসমিন হত্যাকারীদের দ্রæত গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনতে সংবাদ সম্মেলন করে নিহতের ভাই ও এলাকাবাসী। এ সময় বুড়িহাট দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবু হাসান চঞ্চল, সহ-সভাপতি আব্দুল জলিল মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক মোজাম্মেল হক, প্রচার সম্পাদক আবু হোসেন, এলাকাবাসীর পক্ষে মঞ্জু, তুষার, মুকুল, আমিনসহ শতাধিক লোকজন উপস্থিত ছিলেন।

গঙ্গাচড়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ সুশান্ত কুমার সরকার এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, মামলার প্রধান অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে সে হত্যার দ্বায় স্বীকার করেছে। মামলা এখনও তদন্তাধীন, অন্য অভিযুক্তরা হত্যাকান্ডে জড়িত থাকলে অবশ্যই গ্রেপ্তার করা হবে।