গঙ্গাচড়ায় তিস্তা নদীতে পানি বৃদ্ধি চরাঞ্চল প্লাবিত

গঙ্গাচড়ায় তিস্তা নদীতে পানি বৃদ্ধি চরাঞ্চল প্লাবিত
তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তলিয়ে যাওয়া বাদাম ক্ষেত

গঙ্গাচড়া (রংপুর) প্রতিনিধি ♦ উজানের ঢল ও ভারী বর্ষণে তিস্তা নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়ে গঙ্গাচড়া উপজেলার তিস্তা তীরবর্তী চরগুলো তলিয়ে গেছে। এতে চরাঞ্চলের প্রায় ২ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। তলিয়ে গেছে বাদাম, ভূট্টা, পাটসহ নানান জাতের ফসলের খেত। এছাড়া কোলকোন্দ ইউনিয়নের বিনবিনা এলাকায় সদ্য নির্মিত একটি বাধ তিস্তার তীব্র স্্েরাতে ভেঙ্গে গেছে। শনিবার দুপুরে তিস্তার ডালিয়া পয়েন্টে পানি বিপদ সীমার ৩০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
উপজেলার কোলকোন্দ ইউনিয়নের বিনবিনা গ্রামের হাফিজুর, মান্নান জানান, গত শুক্রবার দিবাগত রাত থেকে তিস্তায় পানি বৃদ্ধি পায়। পানির তীব্র স্্েরাতে বিনবিনা এলাকায় সদ্য নির্মিত প্রায় ৬শ মিটার বাধের অর্ধেক ভেঙ্গে যায়। বাধটি ইউপি চেয়ারম্যান সোহরাব আলী রাজু ও স্থানীয় জনসাধারণের ব্যক্তিগত প্রায় ২৫ লাখ টাকা ব্যায়ে নির্মান করা হয়েছিল।  বাধটি ভেঙ্গে যাওয়ায় প্রায় ৭ শত পরিবার পানিবন্দি হয়ে পরেছে বলে জানান, ইউপি চেয়ারম্যান সোহরাব আলী রাজু। এছাড়া পানি বৃদ্ধির ফলে নোহালী ইউনিয়নের চর বাগডহরা, মিনা বাজার, আলমবিদিতর ইউনিয়নের ব্যাংক পাড়া, লক্ষীটারী ইউনিয়নের ইচলী, বাগের হাট, জয়রাম ওঝা, চল্লিশ সাল, গজঘন্টা ইউনিয়নের ছালাপাক, মর্ণেয়া ইউনিয়নের বড় রুপাই, ছোট রুপাই নর সিংহসহ বেশকটি এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকায় প্রায় আরও ১ হাজার ৩ শত পরিবার পানিবন্দি হয়ে পরেছে। সেই সাথে তলিয়ে গেছে বাদাম, ভূট্টা, পাটসহ নানান জাতের ফসলের খেত।
রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান হাবীব জানান, ঘুর্নিঝড় ইয়াস এর প্রভাবে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে, দ্রæতই পানি কমে যাবে।