মামলা করতে গেলে পুলিশ করে টালবাহানা
নভেল চৌধুরী ♦ রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারসহ সুষ্ঠু তদন্তের দাবীতে রংপুরে সংবাদ সম্মেলন হয়েছে। বুধবার বিকেলে রংপুর প্রেসক্লাবে কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী উপজেলার ৫নং চিলমারী ইউনিয়নের কৃষক লীগের আহ্বায়ক মোঃ আমিনুল ইসলাম (কাজী) সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।
এতে জানানো হয়, ২০১৬ সালে চিলমারী ইউনিয়নের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি গয়ছল হক মন্ডলের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় ইউনিয়নের কৃষক লীগের আহ্বায়ক মোঃ আমিনুল ইসলাম (কাজী) এর শত্রুতার সূত্রপাত হয়। ওই নির্বাচনে গয়ছল প্রশাসনকে ম্যানেজ করে তার সন্ত্রাসী বাহিনীর দ্বারা নির্বাচনী বৈতরনী পাড় করে। চলতি বছর আসন্ন নির্বাচনে আনিমুল ইসলাম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে প্রচার-প্রচারণা চালালে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে গয়ছল। আমিনুল ইসলামকে নির্বাচন থেকে সরাতে কুটকৌশলের অংশ হিসেবে গয়ছলের সমর্থক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী ২৮ মার্চ মধ্য রাতে ইউনিয়নের সার্ভার রুম ভাংচুর করে। এ ঘটনায় বাধা দিলে আমিনুল ইসলামের সমর্থক বাবলু ও সুরুজ্জামান গুরুতর আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে কুড়িগ্রাম হাসপাতালে নেয়া হলে অবস্থার অবনতি দেখে তাদের রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায় চিকিৎসকরা। ঘটনার পরদিন সোমবার চিলমারী থানায় আমিনুল ইসলাম কর্মী-সমর্থকদের উপর হামলার ঘটনায় চেয়ারম্যান গয়ছলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করতে গেলে পুলিশ টালবাহানা করে মামলাটি নেয় না। অপরদিকে ইউপি চেয়ারম্যান গয়ছল সার্ভার রুম ভাংচুরের দায়ে আমিনুল ইসলাম ও তার ৪৮ কর্মী-সমর্থকসহ অজ্ঞাত দেড়শজনের নামে হয়রানীমূলক মামলা দায়ের করে। সংবাদ সম্মেলনে হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারে পুলিশ প্রশাসনের প্রতি জোর দাবী জানানো হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, চিলমারী ইউনিয়নের আনোয়ার মিয়া, মাসুদ, এরশাদুল হক, বাবলু মিয়া, নুরুজ্জামান, রফিকুল, সোহেলসহ অন্যরা।
এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান গয়ছল হক মন্ডল বলেন, আমাদের দলীয় কার্যালয় ভাংচুর করায় আমি থানায় মামলা দায়ের করেছি। থানা পুলিশ তদন্ত স্বাপেক্ষে ব্যবস্থা নেবে। এখানে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কিছু নেই।