স্বামী-স্ত্রীর বয়সের উত্তম ভারসাম্য, যা বলে ইসলাম

বয়সে তারতম্য রেখে বিয়ে করা নিষিদ্ধ নয় আবার এ বিষয়ে ইসলাম উৎসাহও প্রদান করেনা।

স্বামী-স্ত্রীর বয়সের উত্তম ভারসাম্য, যা বলে ইসলাম

স্বামী-স্ত্রী সমবয়সী কিংবা বয়সের মধ্যে তারতম্য থাকা- দুটিই বৈধ রয়েছে ইসলামে।  পৃথিবীতে স্বামী-স্ত্রী বয়সের স্বাভাবিক-অস্বাভাবিক ব্যবধানের অনেক উদাহরণ রয়েছে। শরিয়তে বয়সে তারতম্য রেখে বিয়ে করা নিষিদ্ধ নয় আবার এ বিষয়ে ইসলাম উৎসাহও প্রদান করেনা।

বিয়ের এই বিষয়টিতে পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছে ইসলাম। তবে বিষয়টি নির্ভর করে বাস্তবতা, সমাজ ও সংস্কৃতির ওপর।

রাসূল (সা.) এর প্রথমা স্ত্রী খাদিজা (রা.) রাসূল (সা.) এঁর চেয়ে ১৫ বছরের বড় ছিলেন এবং খাদিজা (রা.) যতদিন বেঁচে ছিলেন, ততদিন রাসূল (সা.) আর কোনো বিয়ে করেননি।

আবার রাসূল (সা.) এঁর সবচেয়ে কমবয়সী স্ত্রী হলেন আয়েশা (রা.)। রাসূল (সা.) ও তাঁর স্ত্রী আয়েশা (রা.) এঁর বয়স ছিল যথাক্রমে ৫৩ ও ৯।

স্বামী-স্ত্রীর বয়সের ভারসাম্য:

স্বামী-স্ত্রীর বয়সে ভারসাম্য থাকা উচিত। এ ক্ষেত্রে পবিত্র কোরআনে সরাসরি কোনও নির্দেশনা না থাকলেও ইঙ্গিত রয়েছে। পরিবত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘এবং (জান্নাতে) তাদের পাশে থাকবে সমবয়সী আনতনয়না (জান্নাতী রমণী)। সূরা সাদ, আয়াত:৫২।

অন্য আয়াতে এসেছে, মহান আল্লাহ বলেন, ‘ আমি জান্নাতি রমণীদের উত্তমরূপে সৃষ্টি করেছি। অতঃপর তাদের করেছি চিরকুমারী, সোহানিনী, সমবয়স্কা। সূরা ওয়াকিয়া, আয়াত ৩৫-৩৮

অত,এব এখান থেকে বোঝা যায় যে, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বয়সের পার্থক্য বেশি থাকা উচিৎ নয়।