রংপুরে মিললো এডিস মশার লার্ভা, বাড়ছে ডেঙ্গু রোগী
স্টাফ রিপোর্টার ♦ এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু রোগের সংক্রমণ ও বিস্তার রোধে জনসচেতনতামূলক অভিযান শুরু করেছে রংপুর সিটি করপোরেশন (রসিক)। অভিযানের প্রথম দিনেই মহানগরীর নির্মাণাধীন দুটি ভবন ও একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে এডিস মশার লার্ভা সনাক্ত করা হয়। সোমবার (১০ জুলাই) দুপুরে রংপুর মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় জনসচেতনতামূলক এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এতে নেতৃত্ব দেন রসিকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদ হাসান মৃধা। অভিযানে আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের সিনিয়র বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. মো. হারুন অর রশীদ সহযোগিতা করেন। জানা গেছে, সোমবার দুপুরে মহানগরীর কেরানিপাড়ায় একটি নির্মাণাধীন ভবনের নিচতলায় জমে থাকা পানিতে এবং কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকার একটি মটরস পার্টস ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের ভেতরে রাখা টায়ার ও গাড়ি ধোয়ার জন্য তৈরি করা গর্তের পানিতে এডিস মশার লার্ভা শনাক্ত হয়। এসময় তাদের পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকার জন্য সতর্ক করা হয়।
রংপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদ হাসান মৃধা জানান, রংপুরে দিন দিন ডেঙ্গু রোগী বাড়ছে, যা উদ্বেগজনক। আমরা ডেঙ্গু রোগের সংক্রমণ ও বিস্তার রোধে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছি। এরই অংশ হিসেবে অভিযানে নগরীর নির্মাণাধীন দুটি বাসার ভবন ও একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে এডিস মশার লার্ভা সনাক্ত করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে তাদের সতর্ক করা হয়েছে। পরবর্তী অভিযানে লার্ভা শনাক্ত হলে জরিমানাসহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
এদিকে সোমবার সকালে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগ ঘুরে দেখা যায়, মেডিসিন বিভাগের ৩টি ইউনিটে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। প্রতিটি ইউনিটের কিছু নির্ধারিত বেড নিয়ে ডেঙ্গু কর্ণার করা হয়েছে। এসব বেডে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত নারী-পুরুষ ও শিশু রোগীরা চিকিৎসা নিচ্ছেন। কিছু রোগী বেডে না পেয়ে হাসপাতালের ফ্লোরে চিকিৎসা নিতে দেখা গেছে।
রংপুর মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ও মেডিসিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডাঃ মাহফুজার রহমান বলেন, সোমবার রংপুর মেডিকেল কলেজের মেডিসিন বিভাগে ১২ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগী ভর্তি রয়েছে। এর মধ্যে ১১ জন পুরুষ ও ১ জন মহিলা রয়েছে। এরা সবাই ঢাকা থেকে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে রংপুরে এসেছেন। আমরা মেডিসিন বিভাগের প্রতিটি ইউনিটে একটি করে বøক করে ডেঙ্গু রোগীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছি। তাদের মশারীর ভেতরে রাখা হয়েছে এবং ক্লোজ মনিটর করা হচ্ছে। বর্তমানে সব রোগীর অবস্থাই ভাল।