রংপুরে জামায়াতের মিছিলে পুলিশের লাঠিচার্জ, আটক ৮

রংপুরে জামায়াতের মিছিলে পুলিশের লাঠিচার্জ, আটক ৮


রংপুরে বিক্ষোভ মিছিল করার চেষ্টা করেছে জামায়াতে ইসলামী। পুলিশ লাঠিচার্জ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে এবং সংগঠনের ৮ সদস্যকে আটক করে। শনিবার বিকেলে নগরীর জুম্মাপাড়ার ভাঙ্গা মসজিদের রাস্তা থেকে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা এ বিক্ষোভ মিছিল বের করে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জোহরের নামাজের পর রংপুর শহরের ভাঙ্গা জামে মসজিদ ও মসজিদের গলি থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে জামায়াত-শিবির। এসময় তাদের আরেকটি মিছিল সদর জামে মসজিদ থেকে বের হয়ে মিছিল দুটি একত্রিত হয়ে সুপার মার্কেট হয়ে জাহাজ কোম্পানি মোড়ের পথে মিনি মার্কেটের সামনে পুলিশি বাধা অতিক্রম করে। একপর্যায়ে পুলিশ লাঠিচার্জ করে মিছিলকে ছত্রভঙ্গ করে এবং ৮ জনকে আটক করে। একাধিক সূত্রে জানা গেছে, জোহরের নামাজের সময় রংপুর মহানগর ও জেলার বিভিন্ন থানা থেকে জামায়াত শিবিরের নেতাকর্মীরা ভাঙ্গা মসজিদ ও সদর হাসপাতাল জামে মসজিদের আশেপাশে জড়ো হন। নামাজ শেষে তারা বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। এ বিষয়ে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজার রহমান বলেন, জামায়াত-শিবির হঠাৎ করে কোনো অনুমতি ছাড়াই নগরীতে মিছিল করেছে। পুলিশ মিছিলটি শান্তিপূর্ণভাবে ছত্রভঙ্গ করতে সক্ষম হয়। মিছিল থেকে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মী সন্দেহে আটজনকে আটক করা হয়েছে। যাচাই-বাছাই করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে তাদের নাম প্রকাশ করা হয়নি। এদিকে সকাল থেকেই নগরীর শাপলা চত্বর, পায়রা চত্বর, সিটি বাজার মোড়সহ বিভিন্ন সড়কে কঠোর পুলিশি নজরদারি ছিল। সেই সঙ্গে ব্যাপক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। এর আগে গত বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের অনুমতি চেয়ে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কাছে লিখিত আবেদন করে জামায়াতে ইসলামী। জামায়াতে ইসলামীর দপ্তর সম্পাদক আবদুল্লাহ সাদিক স্বাক্ষরিত পিটিশনে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা, নিঃশর্ত মুক্তিসহ একাধিক দাবিতে শনিবার (৫ আগস্ট) সকালে শাপলা চত্বরে এ কর্মসূচি পালনের কথা বলা হয়। গ্রেফতারকৃত সকল নেতা এবং আলেমদের কারারুদ্ধ করা, দ্রব্যমূল্যের ক্রমবর্ধমান নিয়ন্ত্রণ।