ভক্ষকের ভূমিকায় বিজোড়া ইউপি চেয়ারম্যান আমজাদ

ভক্ষকের ভূমিকায় বিজোড়া ইউপি চেয়ারম্যান আমজাদ

মোঃ আরমান হোসেন (দিনাজপুর) ♦ বিরল উপজেলার নং বিজোড়া ইউপির গ্রামীন রাস্তায় এলাকার স্থানীয় জনগণকে সাথে নিয়ে দলবদ্ধভাবে গাছ লাগানো হয়েছিল সাল ২০০০ এর আগে বা পরে। যার নীতিমালা অনুযায়ী গাছগুলো মেয়াদ পূর্তি হলে প্রকাশ্য নিলামে বিক্রয় করে সরকারিভাবে রাস্তায় দলগতভাবে সকলে উপকারভোগীর অর্থ ভাগ পাবেন।

কিন্তু বিধিবাম গাছ রোপনকারী পূর্বের চেয়ারম্যানগণ আর ক্ষমতায় নেই, পালা বদলে বর্তমানে নং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন। এবার ধরে বার চেয়ারম্যান তিনি বিজোড়া ইউনিয়নের তাই এই পরিষদের পুরো এলাকার সব কিছু তার নখদপর্ণে।

গত ১৭ এপ্রিল শনিবার বিজোড়া ইউনিয়নের চৌমুনী বাজার হয়ে বিজোড়া ইস্কুল এন্ড কলেজ যাবার প্রধান পাকা সড়কের ভগবতীপুর দাশপাড়া গ্রামের সামনের রাস্তার দুই পাশের ১৫-২০ বছর বয়সী ১০-১২ টি শিশু, কড়াই নীম প্রকাশ্য দিবালোকে কেটে নিয়ে যাওয়া স্থানীয় কাঠ ব্যবসায়ী আফজালের বেয়াইর এর -মিলে।

গাছ কাটার বিষয়ে ভগবতির গ্রামের বেশ কিছু ব্যক্তি জানান গাছগুলো চেয়ারম্যান সাহেব কেটেছেন। গাছ বিক্রির টাকা স্থানীয় মসজিদের দেয়ার কথা রয়েছে।

বিকেল টার দিকে কাঠ ব্যবসায়ী আফজাল হোসেনের বেয়াই এর -মিলে গিয়ে দেখা যায়, সদ্য কাঠা গাছগুলো ছ-মিলে স্তুপ করে কিছু গাছ ফাঁড়াই করা হয়েছে। মোটা কান্ড ডালগুলো ওজন করে ভ্যান দিয়ে বিক্রি করা হচ্ছিল।

এসময় হাতে নাতে সাংবাদিকদের সামনে ধরা খেয়ে আফজাল বলেনআমি ৩টি গাছ কিনেছি ৬০,০০০/- টাকায়। বাকি ২টি গাছ চেয়ারম্যান তার ব্যক্তিগত ব্যবহারের জিনিষপত্র বানানোর জন্য মিলে ফাড়িয়েছেন।

ব্যাপারে বিজোড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন বলেন-  গাছগুলো শুকিয়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছিল। আর যারা গাছ লাগিয়েছিল তারা আসেনা। কিছু মসজিদে দিব। সরকারী গাছ এভাবে কাটতে পারবেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন- তাহলে  গাছগুলো জব্দ করি। আর যদি না লেখা লেখি করেন, তাহলে পরে কিছু দেব।

  বিষয়ে অত্র ৮নং ওয়ার্ড এর ইউ,পি সদস্য মিলন হোসেন এর সাথে কথা বলার জন্য তার মুঠো ফোনে কল দিলে তার ফোন বন্ধ থাকায় তার সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।

 নাম না প্রকাশ করার শর্তে এলাকাবাসীর অনেকে অভিযোগ করে বলেন গোটা বিজোড়া ইউনিয়নের রাস্তার দু পার্শের গাছ বর্তমান চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেনের প্রায় ৮বছর কার্যকালে বড় বড় আকারের প্রায় সব গাছ কেটে ফেলেছে। 

 অভিযোগ পেয়ে ১৮ এপ্রিল দুপুরে বিরল উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি জাবের মোহাম্মদ শোয়াইব ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।  বিরল উপজেলা নির্বাহী অফিসার জিনাত রহমান বলেন- এসিল্যান্ড সাহেবকে পাঠিয়েছিলাম। সরকারি গাছ কাটার সততা মিলেছে। ১২-১৪ গাছ তো কাটা হয়েছে। গাছগুলো জব্দ করা হয়েছে। সঠিক তদন্তে জড়িতের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।