পাগলাপীরের রাস্তা এখন ডোবা: ভোগান্তিতে জনসাধারণ

এলজিইডিকে একাধিকবার অবহিত করেও সাড়া পাননি ইউপি চেয়ারম্যান

পাগলাপীরের রাস্তা এখন ডোবা: ভোগান্তিতে জনসাধারণ
পাগলাপীর থেকে ২নং হরিদেবপুর ইউনিয়ন পরিষদ যাওয়ার মূল সড়ক।

নভেল চৌধুরী ♦ রংপুর সদর উপজেলার সবচেয়ে ব্যস্ততম বাজার পাগলাপীর বাজার। কয়েকদিনের টানা বৃষ্টির কারণে চলাচলের অযোগ্য হয়ে গেছে পাগলাপীরের বেশকয়েকটি সড়ক। ভোগন্তিতে পড়তে হচ্ছে জনসাধারণদের। পাগলাপীর থেকে ২নং হরিদেবপুর ইউনিয়ন এবং কোতয়ালী থানায় যাওয়ার মূল সড়কটি যেন হয়ে উঠেছে একটি ডোবা।

পাগলাপীরের ঐতিহ্যবাহী মসজিদটিতে যেতেও ব্যবহার করতে হয় এই সড়কটি। তবে রাস্তার বেহাল দশার কারণে স্যান্ডেল হাতে করে মসজিদের দিকে রওনা হচ্ছে মুসল্লীরা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, একতো ভাঙা রাস্তা আবার টানা বৃষ্টির জমে থাকা পানি, যার ফলে রাস্তার কোনও চিহ্নই দেখা যাচ্ছে না। বারবার দুর্ঘটনায় পড়ছেন অটোরিকশা-ভ্যানচালকরা।

ওই রাস্তার ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভাঙা রাস্তা এবং কাঁদা-পানি জমে থাকার কারণে এদিকে কোন ক্রেতা আসছেন না। যার ফলে আমরা ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছি। এই ভাঙা সড়কটি এবছরের নয়, গত কয়েকবছর ধরে এরকম। প্রদিতদিনই ভ্যান-অটো উল্টে পড়ে আহত হচ্ছেন যাত্রীরা।

আবার অনেকেই দাবি করছেন, বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যানের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর বাড়ি এবং দোকান যাওয়ার মূল পথ এটাই। যার কারণে এই রাস্তার সংস্কার কাজ বাধা পাচ্ছে। তবে একবার সংস্কার করা হলেও কাজটি নিম্নমানের হওয়ায় আবার পূর্বেও অবস্থায় চলে আসে।

শুধু ওই রাস্তা নয়, রংপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে শুরু করে পাগলাপীর মাজার পর্যন্ত ভাঙা রাস্তায় জমে রয়েছে পানি। প্রতিদিনই ছোট-খাটো দুর্ঘটনা ঘটেই চলেছে।

বাজার করতে আসা মানুষজন বলছেন, পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা নেই। এজন্য পানি জমে থাকছে। চলাচলের সময় আমরা কাঁদায় পিছলে পড়ে যাচ্ছি। অনেকদিন ধরেই সমস্যা থাকলেও প্রতিশ্রুতি দিয়েও কেউই এর উন্নয়ন করেনি। আমরা দ্রুত পাগলাপীর বাজারের ভাঙা রাস্তার সংস্কারের দাবি জানাচ্ছি।

ব্যাপারে হরিদেপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ ইকবাল হোসেন বলেন, পাগলাপীর থেকে হরিদেবপুর  ইউনিয়ন পরিষদ যাওয়ার রাস্তাটির বেহাল দশা হয়েছে। সামান্য বৃষ্টিতে কাঁদা পানিতে একাকার হয়ে যায়। পুরো দুই কিলোমিটার রাস্তাটি খানাখন্দে ভরে গেছে। বিষয়টি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরকে (এলজিইডি) একাধিকবার অবহিত করা হলেও তারা রাস্তা সংস্কারের উদ্যোগ নেয়নি। আমি ব্যক্তিগত ভাবে কয়েক দফায় ইট ফেলে রাস্তাটি চলাচল উপযোগি রেখেছি। সম্প্রতি এলজিইডি রাস্তাটি উঁচু করে দিতে চেয়েছে। কিন্তু ড্রেন নির্মাণ না হলে রাস্তা উঁচু করে কোন লাভ হবে না। এতে দুর্ভোগ বাড়তেই থাকবে। তাই ড্রেণসহ সড়কটি নির্মাণে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।