রংপুর রেলস্টেশন এলাকার সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীদের আনন্দের বিকেল
স্টাফ রিপোর্টার ♦ রংপুর রেলস্টেশন এলাকার ছিন্নমূল, ভাসমান শিশুদের শিক্ষার আলোয় আনতে পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনা করছে জুম বাংলাদেশ স্কুল। চলতি বছর রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সহযোগিতায় মাদক থেকে দূরে রেখে এসব শিক্ষার্থীদের শিক্ষার আলোয় আনতে নানা কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রেলস্টেশনস্থ জুম বাংলা স্কুল প্রাঙ্গনে সুবিধাবঞ্চিত স্কুলের শিক্ষার্থীদের নিয়ে সংস্থার নির্বাহী পরিচালক, রংপুর স্কুলের সমন্বয়কারী ও প্রধান পৃষ্ঠপোষকের কন্যার জন্মদিন উদযাপন করা হয়। অতিথিদের সাথে কেক কাটেন স্কুলের শিক্ষার্থীরা।
অনুষ্ঠানে নাচ-গান, কবিতা আবৃত্তিতে অতিথি ও অভিভাবকদের মুগ্ধ করে শিক্ষার্থীরা। রেলস্টেশনের সুবিধাবঞ্চিত এসব শিশুদের সহ-শিক্ষা এসব কার্যক্রম দেখে অতিথি ও অভিভাকরা প্রশংসা করেন। আয়োজনে স্কুলের ৭০ জন শিক্ষার্থীকে বিনামূল্যে নতুন স্কুল ব্যাগ, শিক্ষা উপকরণ, শীতবস্ত্র ও উন্নতমানের খাবার প্রদান করা হয়। শিক্ষা উপকরণ পেয়ে শিক্ষার্থীদের চোখে মুখে হাসির ঝিলিক ফুটে উঠে।
জুমবাংলা স্কুলের প্রধান পৃষ্ঠপোষক, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোঃ মনিরুজ্জামানের সভাপতিত্বে আয়োজনে বক্তব্য রাখেন, জুম বাংলা ইয়ুথ ফাউন্ডেশনের প্রধান উপদেষ্টা ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হুসাইন দিপু, সভাপতি রুহুল আমিন, প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী শাহিন প্রধান, গণপূর্তের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মিছবাহ উদ্দিন, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার সায়ফুজ্জামান ফারুকী, উত্তম কুমার পাল, উপ-পুলিশ কমিশনার আবু বকর সিদ্দিক, কাজী মুত্তাকি ইবনু মিনান, রংপুর সিটি কলেজের অধ্যক্ষ বোরহান উদ্দিন, কারমাইকেল কলেজের সহযোগি অধ্যাপক দিলীপ কুমার রায়, রংপুর মেট্রোপলিন কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির সাধারণ সম্পাদক আরিফ হোসেন টিটো, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক তানবীর হোসেন আশরাফীসহ অন্যরা।
জুম বাংলা ইয়ুথ ফাউন্ডেশনের প্রধান উপদেষ্টা ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হুসাইন দিপু বলেন, আমরা বর্তমানে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ছিন্নমূল এসব শিশুদের শিক্ষার আলোয় আনতে কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের আশা রয়েছে যারা উচ্চ শিক্ষাগ্রহণ করতে চায় তাদের সার্বিক সহযোগিতা করা। এতে করে পিছিয়ে পড়া মানুষেরা এগিয়ে যাবে এবং তারা সমাজের বোঝা হবে না।
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোঃ মনিরুজ্জামান বলেন, রেলস্টেশন এলাকায় মাদকের কারবার বেশি হয়। ফলে শিশু বয়স থেকেই এখানকার শিশুরা মাদকসেবন ও ব্যবসার সাথে জড়িয়ে পড়ে। আমরা জুম বাংলা স্কুল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে শিশুদের মাদকের হাত থেকে রক্ষা করে শিক্ষার আলোয় ফিরিয়ে আনতে কাজ করছি। এ স্কুলে শিক্ষার্থীরা শুধ্ ুলেখাপড়াই করছে না, সহ-শিক্ষা কার্যক্রমেও তারা পারদর্শী হয়ে উঠছে। তারা গান করছে, নাচ করছে, কবিতা আবৃত্তি করে সবাইকে মুগ্ধ করছে।
তিনি বলেন, বিত্তবানদের মধ্যে যারা সমাজের উন্নয়নের জন্য কাজ করতে চান, তারা জুম বাংলা স্কুলের একটি শিশুর দায়িত্ব নিতে পারেন। তাহলে আমরা সুবিধাবঞ্চিত সকল শিশুকে শিক্ষার আলোয় আনতে পারবো। আমি চাই যারা বর্তমানে শিশুদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন, তারা ভবিষ্যতেও তাদের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিবেন। এতে করে এসব সুবিধাবঞ্চিত লেখাপড়া করে এগিয়ে যেতে পারবে।