প্রচারণার শেষ দিনে কি বলছেন প্রার্থীরা (ভিডিও)

রংপুর সিটি কর্পোারেশন নির্বাচনের প্রচারণার শেষদিনে গণসংযোগে মনযোগ প্রার্থীদের

নভেল চৌধুরী ♦ রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের প্রচারণার শেষদিনে ভোটারদের কাছে ভোট প্রার্থনা এবং কুশল বিনিময়ে ব্যস্ত সময় পার করলেন মেয়র প্রার্থীরা। রোববার (২৫ ডিসেম্বর) নগরের বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ করেন প্রার্থীরা।
সদ্য বিদায়ী মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা (লাঙ্গল) বলেন, নির্বাচন কমিশনের প্রতি আমাদের আস্থা আছে। আমরা আশা করছি সিটি নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে। তবে নির্বচন কমিশনের কথানুযায়ী আমরা যে গাঁ ছেড়ে দিয়ে থাকবো তা না। আমাদেরও প্রস্তুতি আছে। প্রত্যেকটি সেন্টারে আমাদের নেতা-কর্মীরা অতন্দ্র প্রহরীর মতো পাহাড়ায় থাকবে। নির্বাচনে কেউ কোনরকম জালিয়াতি করার চেষ্টা করলে তার দাঁতভাঙ্গা জবাব দেয়া হবে।

মেয়র প্রার্থী এ্যাড. হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া  (নৌকা) বলেন,  মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে হবে এই নির্বাচন। এই নির্বাচন অবশ্যই সুষ্ঠু হবে। আমার নির্বাচন নিয়ে কোনরকম শঙ্কা নেই।  শেষ দিনে প্রচারণায় এসেও সবার মুখে নৌকার জয়ধ্বনি। আরেক মেয়র প্রার্থী আমিরুজ্জামান পিয়াল (হাতপাখা) বলেন, ইভিএম নিয়ে লাখোবার আমরা সংশয় প্রকাশ করার পরও নির্বাচন কমিশন আমাদের ওপর ইভিএম চাপিয়ে দিয়েছে। এই ইভিএমে ¯েøা ভোটিংয়ের কারণে যেন আমার ভোটররা ভোট দিতে ব্যর্থ না হয় সে বিষয়টি নির্বাচন কমিশনকে নিশ্চিত করতে হবে।

জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী উল্লেখ করে স্বতন্ত্র প্রার্থী মিলন (হাতি) বলেন, ২৭ তারিখের নির্বাচনে চমক দেখাবেন ভোটাররা। নগরবাসী জেগেছে, তারা আর ঘুমিয়ে নেই। তারা এখন দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিততে চায় বিধায় চারিদিকে হাতি প্রতীকে ব্যাপক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। 
অন্যদিকে নির্বাচনী প্রচারণায় কালো টাকার ছড়াছড়ি এমন অভিযোগ করে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদের (ইনু) প্রার্থী শফিয়ার রহমান (মশাল) বলেন, নির্বাচন কমিশন যথোপযোগী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে, আইন করেছে। তবে আইন তারা (প্রার্থীরা) মানছেন না। গণসংযোগ করে বোঝা যাচ্ছে আমি যাদের ভোট পাব, তাদের বেশির ভাগই তরুন। আমি বলতে পারি দল, মত নির্বিশেষে আমাকে একজন শিক্ষক হিসেবে ভোট দেবেন। 
রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা আব্দুল বাতেন বলেন, রসিক নির্বাচনেই প্রথম, যেখানে আমরা পোালিং এজেন্ট, প্রার্থীর পক্ষে যারা ভোটকক্ষে উপস্থিত থাকবেন তাদের মাস্টার ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করেছি। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা কিছু নতুন ব্যবস্থাও গ্রহণ করেছি। এখানে প্রতিটি ভোট কক্ষ এবং কেন্দ্র সিসি ক্যামেরার আওতায় থাকবে। আমরা ট্যাবের মাধ্যমে নির্বাচনের ফলাফল অনলাইনে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে নিয়ে আসবো। নির্বাচনে দায়িত্বরত কেউ যদি পক্ষপাতিত্ব করে কিংবা দায়িত্ব পালনে অবহেলা করে তাহলে অবশ্যই নির্বাচন কমিশনকে আমরা অবহিত করব এবং নির্বাচন কমিশন ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।