কোনো কারণ ছাড়াই ৭ হাজারের বেশি কর্মকর্তার পদোন্নতি আটকে আছে
স্টাফ রিপোর্টার ♦ কোনো কারণ ছাড়াই ৭ হাজারের বেশি কর্মকর্তার পদোন্নতি আটকে আছে বলে অভিযোগ করেছে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতি। মঙ্গলবার দুপুরে রংপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতি’র এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করা হয়।
বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতি’র জেলা সাধারণ সম্পাদক ড. মোঃ সাইফুর রহমান লিখিত বক্তব্যে জানান, দেশের প্রাথমিক থেকে উচ্চ শিক্ষাস্তরের শিক্ষা প্রদান, পরিচালনা, ব্যবস্থাপনা, পরিকল্পনা, গবেষণা ও প্রশাসনিক কার্যক্রম পর্যন্ত শিক্ষা ক্যাডারের কার্যক্রম বিস্তৃত। প্রাথমিক থেকে উচ্চ শিক্ষা স্তরে সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরের নবম গ্রেডের উপরে সকল পদ শিক্ষা ক্যাডারের তফসিলভুক্ত। কিন্তুনিয়ম-নীতি উপেক্ষা করে এসব পদে শিক্ষা ক্যাডার বর্হিভুতদের পদায়ন করা হচ্ছে। অধ্যাপক পদে ১২’শ জন, সহযোগি অধ্যাপক পদে ৩ হাজার জন, সহকারী অধ্যাপক পদে ৩ হাজার জন পদোন্নতি পাওয়া যোগ্য শিক্ষকদের পদ শুন্য না থাকার অজুহাতে দু’বছর ধরে পদোন্নতি বন্ধ করে রাখা হয়েছে। এসব শিক্ষক বেতন স্কেলের সর্বোচ্চ সীমায় পৌঁছে গেছে, তাদের পদোন্নতি দিলে সরকারে কোন অতিরিক্ত অর্থ খরচ হবে না। বর্তমানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের সংখ্যা বাড়লেও সেই অনুযায়ী শিক্ষকদের পদায়ন করা হয়নি। অন্য ক্যাডারের কর্মকর্তারা পঞ্চম গ্রেড থেকে তৃতীয় গ্রেডে পদোন্নতি পেলেও সাধারণ শিক্ষা ক্যাডাররা এ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এনিয়ে সরকার এক বার উদ্যোগ নিলেও ৯৮টি পদ ৩য় গ্রেডে উন্নীত পর সেই নির্দেশনা আর কার্যকর হয়নি।
তিনি আরও জানান, শিক্ষা ক্যাডারকে অবকাশকালীন বিভাগ করে রাখায় শিক্ষক-কর্মকর্তারা পূর্ণ গড় বেতনে অর্জিত ছুটি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটির সময় শিক্ষকদের কলেজে এসে ভর্তি, রেজিস্ট্রেশন, ফরম ফিলাপসহ নানা কাজে কর্মস্থলে উপস্থিত থাকতে হয়, কিন্তু অবসরগ্রহণকালীন তাদের ১০ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে। দেশের সার্বিক শিক্ষা ব্যবস্থার মান উন্নয়নে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের অধীনে উপজেলা পর্যায়ে শিক্ষা ক্যাডার নিয়ন্ত্রিত জেলা ও উপজেলা শিক্ষা প্রশাসন প্রতিষ্ঠা অতীব জরুরী। সংবাদ সম্মলনে উপরোক্ত দাবী আদায়ে আগামী ২ অক্টোবর এবং ১০ থেকে ১২ অক্টোবর পর্যন্ত কর্মবিরতি পালন করবে শিক্ষক-কর্মকর্তারা।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতি রংপুর জেলা শাখার সভাপতি অধ্যাপক মোশাররফ হোসেন, রংপুর বিভাগীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক মাহফিজুল আনাম, সদস্য সমরেশ কৃষ্ণ রায়, রংপুর সিটি কলেজের অধ্যক্ষ বোরহান উদ্দীন, কারমাইকেল কলেজের সহযোগি অধ্যাপক দিলীপ চন্দ্র রায়, রংপুর সরকারী কলেজের শিক্ষক সুমন মন্ডল, আজিজুল ইসলাম, হারুন-অর-রশিদসহ অন্যরা।###