লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে আরও কঠোর প্রশাসন 

লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে আরও কঠোর প্রশাসন 

স্টাফ রিপোর্ট ার ♦ রংপুরে দ্বিতীয় দিনের লকডাউনে প্রশাসনের তৎপরতা বেড়েছে। নগরীর সব গুরুত্বপূর্ণ স্থানে চেকপোস্ট বসিয়ে হাট-বাজার, সড়ক-মহাসড়কে যানবাহন ও মানুষ নিয়ন্ত্রণ করেছে পুলিশ। অহেতুক মানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রণে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেছে জেলা প্রশাসন। তবে সর্বাত্মক লকডাউনের প্রথম দিনের চেয়ে রংপুর নগরীতে মানুষের আনাগোনা বেড়েছে।

রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ সূত্রে জানা যায়,  রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক, অপরাধ ও  গোয়েন্দা বিভাগ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখাসহ লকডাউন কার্যকর করতে মঙ্গলবার রাত থেকে নগরীতে টহলসহ সচেতনতামূলক কার্যক্রম শুরু করেছে। ট্রাফিক বিভাগের দুটি ইউনিট নগরীর গুরুত্বপূর্ণ ১২টি পয়েন্টে চেকপোস্ট বসিয়ে সড়ক-মহাসড়কে যানবাহন নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব পালন করেছে। এছাড়া মেট্রোপলিটন পুলিশের অপরাধ বিভাগ ও গোয়েন্দা বিভাগ নগরীতে মাইকিংয়ের মাধ্যমে সরকারী নির্দেশনা প্রচারসহ অহেতুক ঘোরাফেরা করা ব্যক্তিদের বাড়িতে ফেরাতে কাজ করেছে।  

এদিকে  করোনার উর্ধ্বমূখী সংক্রমণে ঝুঁকিপূর্ণ জেলা রংপুরে স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না। বাজার, বিভিন্নী জরুরী পণ্যের দোকানে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ের মাঝে স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে উদাসীনতা লক্ষ্য করা গেছে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর টহল কিংবা প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা বাজার পর্যবেক্ষনে আসলেই মুখে মাস্ক পড়ছেন সবাই। আবার ফিরে গেলেই মাস্ক খুলে রাখছেন অনেকেই। এদিকে সরকার খোলা স্থানে কাঁচাবাজার স্থানান্তর করার নির্দেশ দিলেও রংপুরে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সেটি বাস্তবায়ন করা হয়নি। এছাড়া নগরীর প্রাণকেন্দ্র ছাড়াও অন্যান্য বাজারগুলোতেও স্বাস্থ্য মানা হয়নি।

রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মোহাঃ আবদুল আলীম মাহমুদ বলেন, সরকারী নির্দেশনা বাস্তবায়নে মেট্রোপলিটন পুলিশ মাঠে কাজ করছে। স্বাস্থ্য বিধি না মেনে যারা ঘর থেকে বের হচ্ছে তাদের চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। আমরা সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি প্রয়োজনে আইন প্রয়োগও করছি।