রংপুরে সম্মিলিত প্রচেষ্টায় শব্দ দূষণ রোধের আহ্বান

রংপুরে সচেতনতামূলক মতবিনিময় সভা

রংপুরে সম্মিলিত প্রচেষ্টায় শব্দ দূষণ রোধের আহ্বান

স্টাফ রিপোর্টার ♦ সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে শব্দ দূষণ রোধের আহ্বান জানিয়ে রংপুরে সচেতনতামূলক মতবিনিময় সভা হয়েছে। মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারী) সকালে রংপুর জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষেশব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত ও অংশীদারিত্বমূলক প্রকল্পের আয়োজনে এ সভায় প্রশাসন, পরিবেশ অধিদপ্তর, আইন শৃঙ্খলা বাহিনী’র উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, মসজিদের ইমাম, বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারী দপ্তরের কর্মকর্তারা অংশ নেন। রংপুর পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক সৈয়দ ফরহাদ হোসেনের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, জেলা প্রশাসক ড. চিত্রলেখা নাজনীন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, রংপুর জেলা পুলিশ সুপার ফেরদৌস আলী চৌধুরী। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত ও অংশীদারিত্বমূলক প্রকল্পের ৬৪ জেলা শহরে শব্দের মাত্রা পরিমাপ বিষয়ক জরিপ কার্যক্রমের টিম লিডার অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার। প্রকল্প সংশ্লিষ্ট তথ্যচিত্র উপস্থাপন করেন, শব্দ দূষণ জরিপের মাঠ কর্মকর্তা ইঞ্জিনিয়ার মোঃ নাছির আহমেদ পাটোয়ারী। এতে জানানো হয়, রংপুরের বাস টার্মিনাল, আলমনগর, বিসিক শিল্প নগরী, ডিসি অফিস, মুন্সিপাড়া, মর্ডাণ মোড়, রংপুর মেডিকেল কলেজ, মাহিগঞ্জ বাজার, কলেজপাড়া, শাপলা চত্ত¡র, পায়রা চত্ত¡র, দেওয়ানবাড়ি রোড, তাজহাট রাজবাড়ি, রংপুর রেলস্টেশন ও কামাল কাছনা এলাকায় এ প্রকল্পের মাধ্যমে শব্দ দূষণ জরিপ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে। জরিপের ফলাফলে রংপুরে শব্দ দূষণমাত্রা সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে প্রতীয়মান হয়েছে। তবে দিন দিন দূষণ মাত্রা বেড়ে চলেছে। এখনই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা না গেলে আগামীতে রেডজোনের আওতাধীন হবে রংপুর নগরী। 
মতবিনিময় সভায় বক্তারা বলেন, রংপুর সিটি কর্পোরেশন গঠনের পর থেকে নগরীতে ভবন নির্মাণের কাজ বেড়েছে। সেখান থেকে শব্দ দূষণ হচ্ছে। যানবাহনের কারণে শব্দ দূষণ, বিশেষ করে অটোরিক্সার কারণে শব্দ দূষণ বেশি হচ্ছে। মতবিনিময় সভায় সচেতনতার অভাবে মানুষ অকারণে হর্ণ বাজানো, উঠতি বয়সী ছেলেদের মোটরসাইকেলে হাইড্রোলিক হর্ণ বাজানো, সমাবেশ-নানা ধর্মীয় আয়োজনে অত্যাধিক মাইক বাজানোসহ রংপুরে শব্দ দূষণের নানা উৎস চিহ্নিত করা হয়। 
রংপুর জেলা প্রশাসক ড. চিত্রলেখা নাজনীন বলেন, শব্দ দূষণ রোধ করতে হলে সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। আইন প্রয়োগের মাধ্যমে একটি রোধ করা সম্ভব নয়, বরং সচেতনতাই পারে শব্দ দূষণ রোধ করতে। তাই প্রত্যেককে স্ব-স্বক্ষেত্রে শব্দ দূষণ রোধে এগিয়ে আসতে হবে। তাহলে শব্দ দূষণের হাত থেকে আমাদের স্বাস্থ্যকে রক্ষা করতে পারবো। মতবিনিময় সভাটি ইকিউএমএস কনসালটিং লিমিটেড ও বায়ুমন্ডলীয় দূষণ অধ্যায়ন কেন্দ্র-ক্যাপসের সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত হয়।