হুইপ ইকবালুর রহিমের দায়িত্ব নেয়া মুন্নীর চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন পুরণ হলো

হুইপ ইকবালুর রহিমের দায়িত্ব নেয়া মুন্নীর চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন পুরণ হলো

মোঃ আরমান হোসেন (দিনাজপুর) ♦ দিনাজপুর সদর-৩ আসনের সাংসদ ও জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম-এর হস্তক্ষেপে অসহায় ও হতদরিদ্র পরিবারের মেয়ে পাবনা জেলার শিক্ষাথর্ী মুন্নীর চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন পুরনের যাত্রা শুরু হলো। ৩০ মে রোববার মুন্নীর মুখে হাসি, হৃদয়ে উচ্ছলতা, আর সুর্যের মত আলো মুখে জল জল করছে। পিতা ও ভাইকে নিয়ে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজে প্রবেশ করলেন শিক্ষাথর্ী মুন্নী। যে আনন্দ মুন্নী নিজেই ধরে রাখতে পারছিলো না। এ স্বপ্ন পুরন হবে, মুন্নী চিকিৎসক হবে

এ যেন এখনো স্বপ্ন। তাই বিশাদের মধ্যেও যেন হাসির ফোয়ারা। চোখে পানি, মুখে হাসি। এ যেন এক অন্যরকম দৃশ্যপট। এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ

ডাঃ নাদির হোসেন, বললেন কি হয়েছে মুন্নী, কাদছো ও হাসছো কেন ? উত্তরে জান্নাতুম মৌমিতা মুন্নী বললেন, মহান জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম যে

দায়িত্ব নিয়ে আমাকে চিকিৎসক হওয়ার জন্য যে যাত্রা শুরু করলেন আল্লাহপাক যেন আমাকে সেই শক্তি, মেধা ও প্রজ্ঞা দান করেন। আমার অসহায় গরিব পিতা মাতা আমার

এই স্বপ্ন কোন দিন পুরন করতে পারতো না। কিন্তু যে উদ্যোশ্য ও আদর্শ নিয়ে ইকবালুর রহিম এমপি যে দায়িত্ব নিয়েছেন আমিও যেন অসহায় দরিদ্র মানুষের সেবা করে এ

দায়িত্ব পালন করতে পারি। ইকবালুর রহিমেরও স্বপ্ন যেন আমিও পুরন করতে পারি। এ ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ডাঃ নাদির হোসেন বলেন, কোভিড-১৯ এর এই মহামারির সময় সাহসি চিকিৎসকদের খুবই প্রয়োজন। জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি চিকিৎসক তৈরি করার জন্য যে দায়িত্বগুলি নিচ্ছেন তা শুধু দিনাজপুরের জন্য নয়, সারাবাংলাদেশের জন্য একটা দৃষ্টান্ত ও প্রশংসনীয় উদ্যোগ। এমন একটি মানুষের সন্ধানে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। ইকবালুর রহিমের সততা, সাহসিকতা , মনোবল ও প্রবল ইচ্ছাকে আমরা একটু সহযোগিতা করলেই চিকিৎসা ক্ষেত্রে একটি বৈপ্লিক পরিবর্তন ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। এমন একটি মানুষ যার নাম ইকবালুর রহিম। এই মানুষের মত আরও কিছু মানুষের প্রয়োজন এদেশে। এটা আমাদের প্রত্যাশা। মুন্নীর বাবা বাকী বিল্লাল এসয় বলেন, ইকবালুর রহিম এমপির মত মানুষ এ দেশে জন্ম নেয়া প্রয়োজন। অসহায় দরিদ্র ও গরীব মানুষের পাশে না দাড়াতে পারলে এ দেশের মানুষ চিকিৎসা সেবা নয়, সব সেবা থেকে বঞ্চিত হবে। তাই ইকবালুর রহিমের মত মানুষ এ দেশে খুবই প্রয়োজন। হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক প্রয়াত সংসদ সদস্য এম আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ আমার প্রয়াত বাবার নামে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নামকরণ করেছেন। আমি সংসদের যে ভাতা পাই সেই অর্থ দিয়ে প্রতি বছরই মেধাবী শিক্ষার্থীদের সাহায্যে ব্যয় করে থাকি। বর্তমানে আমাদের এই মেডিক্যাল কলেজে ৫ জন শিক্ষার্থী বিনাখরচে পড়াশোনা করছেন। ইতোমধ্যে ১৪ জন এমবিএস পাস করেছেন। মুন্নীর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের চিন্তামুক্ত করেছি। তার মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষা গ্রহনের জন্য যে অর্থ ব্যয় হবে সেটা আমি বহন করছি। তিনি বলেন, এই দেশে সবাইকে একে অপরের জন্য এগিয়ে আসতে হবে। তাহলে ভাল চিকিৎসক, প্রকৌশলী, শিক্ষাবিদ, মানব সম্পদ বিজ্ঞানীসহ নানা জ্ঞানি গুণি মানুষ গড়ে উঠবে। এ দেশ হবে উন্নয়নের প্রধান চাবিকাঠি। মানুষ, শান্তি সুখে জীবন যাপন করবে। স্বপ্ন পুরন হবে এ দেশের স্বাধীনতা স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের। পরিশ্রম, সার্থক হবে প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার। উল্লেখ, পাবনা জেলার হতদরিদ্র বাকী বিলালের কন্যা জান্নাতুম মৌমিতা মুন্নী ভাল ফলাফল করেও মেডিকেল পড়ার ইচ্ছা পুরন হচ্ছিলো না। এ খবর ইকবালুর রহিম এমপির কাছে