রংপুরে স্বপ্নে পাওয়া স্বর্ণের মূর্তি বলে প্রতারণা : গ্রেফতার- ২ 

রংপুরে স্বপ্নে পাওয়া স্বর্ণের মূর্তি বলে প্রতারণা : গ্রেফতার- ২ 

স্টাফ রিপোর্টার ♦ স্বপ্নে পাওয়া স্বর্ণের মূর্তি বলে পিতলের মূর্তি দেখিয়ে অভিনব কায়দায় অর্থ হাতিয়ে নেয়া প্রতারক চক্রের দুই সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করেছে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ। 

সোমবার দুপুরে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা শাখার কার্যারয়ে সংবাদ সম্মেলনে উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিবি) কাজী মুত্তাকি ইবনু মিনান জানান, রংপুর নগরীর কামাল কাছনা চিড়ার মিল এলাকার গ্রিল দোকানী রুবেলকে রাজমিস্ত্রি মিরাজুল জানায় বগুড়া জেলার দুপচাঁচিয়ায় মনসুর ফকিরের খালার কাছে স্বপ্নে পাওয়া একটি স্বর্ণের মূর্তি রয়েছে। মূর্তিটি বিরল ও ৪ লাখ টাকা দিলে তা কেনা যাবে। এরপর রুবেল তার বন্ধ আবুল হোসেন ওরফে খুশু (৩০) ও সুজন মিয়ার (৩০) সাথে আলোচনা করে এবং তাদের মাধ্যমে মাসুদ রানা বিষয়টি অবগত হন।

পরবর্তীতে মূর্তিটি দেখার জন্য ২৮ এপ্রিল রাত সাড়ে ১০টায় মাহিগঞ্জের আমতলা মোড় এলাকায় মনসুর ফকির মূর্তিটি মাসুদ রানাকে দেখান এবং কৌশলে মূর্তি থেকে ছোট্ট একটি টুকরো ভেঙ্গে দেন স্বর্ণ কিনা পরীক্ষার জন্য। এরপর মাসুদ রানা স্বর্ণের দোকান নিয়ে গিয়ে ওই টুকরোটি পরীক্ষা করে নিশ্চিত হন মূর্তিটি স্বর্ণের। পরবর্তীতে মাসুদ রানা মূর্তিটি কেনার জন্য মনসুর ফকিরের কাছে ২ লাখ ৬০ হাজার টাকা দেন। কিন্তু মনসুর ফকির টাকা নিয়ে মূর্তিটি না দিয়ে কৌশলে পালিয়ে যান। পরে বিষয়টি নিয়ে মাসুদ রানা বাড়ির লোকজনদের জানালে তিনি প্রতারকের খপ্পরে পড়েছেন বলে নিশ্চিত হন।

এ ঘটনায় মাসুদ রানা মাহিগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করলে ডিবি’র চৌকস দল অভিযান চালিয়ে রংপুর নগরী থেকে রুবেলকে ও কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী থেকে মিরাজুলকে মূর্তিসহ গ্রেফতার করে। প্রতারণার সাথে জড়িত অন্যান্যদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যহত রয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার ফারুক আহমেদ, পুলিশ পরিদর্শক ছালেহ্ আহাম্মদ পাঠান, এসআই বাবুল ইসলামসহ অন্যরা।