রংপুর প্রেসক্লাবে প্রয়াত সভাপতি রশীদ বাবুর স্মরণে মিলাদ মাহফিল

রংপুর প্রেসক্লাবে প্রয়াত সভাপতি রশীদ বাবুর স্মরণে মিলাদ মাহফিল

স্টাফ রিপোর্টার ♦ রংপুর প্রেসক্লাবের সদ্য প্রয়াত সভাপতি ও ক্রিকেটার সোহরাওয়ার্দী শুভ’র বাবা মরহুম আব্দুর রশীদ বাবুর রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২৫ মে) দুপুর বারোটায় প্রেসক্লাব ভবনে এ আয়োজন করে রংপুর প্রেসক্লাব। এতে ক্লাবের সদস্যরা ছাড়াও রংপুুুরে কর্মরত বিভিন্ন মিডিয়ার সাংবাদিকেরা ও মরহুমের শুভাকাঙ্খীরা উপস্থিত ছিলেন।

মিলাদ মাহফিলের আগে পবিত্র কোরআন থেকে আলোচনা করা হয়। পরে সাংবাদিক আব্দুর রশীদ বাবুর আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া মোনাজাত করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন মরহুমের বড় ছেলে ইসমাইল হোসেন প্রিন্স, রংপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান সিদ্দিকী রনি, নাট্যব্যক্তিত্ব ও সংগঠক মিজান তালুকদার, রংপুর রিপোর্টার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শাহ্ বায়েজীদ আহম্মেদ, প্রচার সম্পাদক হারুন-অর-রশিদ হারুন, বাংলাদেশ ফটোজার্নালিস্ট এসোসিয়েশন রংপুর জেলার সাধারণ সম্পাদক মমিনুল ইসলাম রিপন, টেলিভিশন ক্যামেরা জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন-টিসিএ রংপুরের সাধারণ সম্পাদক এহসানুল হক সুমন, প্রেসক্লাব বিপনী বিতান ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি রোস্তম আলী সরকার, সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।

উল্লেখ্য, সাংবাদিক রশীদ বাবু গত শনিবার (২২ মে) ভোরে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান। তিনি রংপুর নগরীর জুম্মাপাড়া এলাকার বাসিন্দা। রংপুর প্রেসক্লাবে কয়েকবার সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি পদে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও জুম্মাপাড়া করীমিয়া নুরুল উলুম মাদ্রাসার কোষাধ্যক্ষ, নাট্যসংগঠন শিখা সংসদ ও রোটারী ক্লাবের সদস্য ছিলেন। সত্তর দশকের শেষের দিকে  রশীদ বাবু জনপ্রিয় বিনোদন কাগজ চিত্রালী পত্রিকায় স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে সাংবাদিকতা শুরু করেন। এরপর দৈনিক দিনকাল, বাংলাবাজার, ঢাকার ডাকসহ বিভিন্ন পত্রিকাতে কাজ করেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক পত্রিকা ঢাকার ডাক এর রংপুর ব্যুরো প্রধান হিসেবে কর্মরত ছিলেন। রশীদ বাবু দৈনিক দাবানল পত্রিকায় স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন।

১৯৫৩ সালের ১ আগস্ট রশীদ বাবু জন্মগ্রহণ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৮ বছর। শনিবার বাদ আসর করীমিয়া নুরুল উলুম মাদরাসা মাঠে মরহুমের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে নগরীর মুন্সিপাড়া কবরস্থানে বাবা ইসমাইল হোসেনের কবরের পাশে তাকে সমাহিত করা হয়।