করোনাকালীন ভালো কাজ করায় শ্রেষ্ঠ কর্মকর্তার সন্মাননা গঙ্গাচড়ার ইউএনও’র ঝুলিতে

করোনাকালীন ভালো কাজ করায় শ্রেষ্ঠ কর্মকর্তার সন্মাননা গঙ্গাচড়ার ইউএনও’র ঝুলিতে
গঙ্গাচড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাসলীমা বেগম

নির্মল রায় ♦ করোনাকালীন সমাজের ভালো কাজ করায় আন্তর্জাতিক নারী দিবসে শ্রেষ্ঠ কর্মকর্তার সন্মাননা পেলেন গঙ্গাচড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাসলীমা বেগম। গত সোমবার (৮ই মার্চ) জেলা প্রশাসন ও জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের আয়োজনে রংপুর টাউন হলে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক নারী দিবসের আলোচনা সভায় তাকে এই সন্মাননা দেয়া হয়। 
রংপুর জেলা প্রশাসক আসিব আহসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সন্মাননা তুলে দেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি রংপুর বিভাগীয় কমিশনার আব্দুল ওয়াহাব ভূঞা। 
উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলার সচেতন বাসিন্দাদের সূত্রে জানা যায়, বৈশি^ক মহামারি করোনাকালীন মানবতা যখন ভূলুণ্ঠিত হওয়ার পথে এবং সকলে যখন নিজের বেঁচে থাকার লড়াইয়ে ব্যস্ত, ঠিক তখনই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে উপজেলা বাসীর পাশে থেকে সার্বিক সহায়তা করেছেন গঙ্গাচড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাসলীমা বেগম। চরম বিভীষিকাময় এ দুঃসময়ে ব্যক্তি স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিয়ে কাক ডাকা ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত উপজেলা বাসীর পাশে ছিলেন। কখনো সরকারি কখনো ব্যক্তিগত অর্থসহায়তা দিয়েছেন দুস্থ্য ও অসহায়দের। এমনকি করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তি বা পরিবারের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে খাদ্য বা ঔষধ সহায়তার বিষয়ে তার চেষ্টার কোন কমতি ছিলনা। করোনায় কিংবা করোনা গুজবে মৃত ব্যক্তির দাফন কাজে সহযোগিতাসহ সকল বিষয়ে তারুণ্যের প্রতীক এ ইউএনও ছিলেন সোচ্চার ও সচেতন। 
এছাড়া সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী  লকডাউন বাস্তবায়ন করাসহ সচেতন মহলকে সাথে নিয়ে করোনা ভাইরাস সম্পর্কে জনসাধারণকে সচেতনে তার ভূমিকা ছিল অন্যতম। ফলে এ উপজেলায় করোনা সংক্রমনের হার ছিল খুবই কম। সন্মাননা প্রদান কালে রংপুরের ডি আই জি দেবদাস ভট্টাচার্য, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার আব্দুল আলীম মাহমুদ, রংপুর পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার সরকারসহ জেলা ও মহানগর আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।