অপহরণ ও জোর করে ষ্টাম্পে সাক্ষর, কারাগারে শামীমসহ তিনজন

অপহরণ ও জোর করে ষ্টাম্পে সাক্ষর, কারাগারে শামীমসহ তিনজন

স্টাফ রিপোর্টার ♦ অপহরণ পূর্বক মারপিট ও জোর করে ষ্টাম্পে সাক্ষর, পে অর্ডার ও ভয়ভীতি দেখার অপরাধের মামলায় কারাগারে সাজ্জাদুল হাসান আল মামুন শামীমসহ তিনজন কারাগারে। 
রোববার (২৭ জুন) সিনিয়র জুডিশিয়াল-১ দেলোয়ার হোসেন এর আদালাতে স্থায়ী জামিন আবেদন করলে জামিন বাতিল করে কারাগারো পাঠানোর নির্দেশ দেন। 
মামলার সুত্রে জানান যায়, রংপুর নগরীর রনচন্ডি ডাক্তার পাড়ার কামরুল হাসান গং এর নিকট থেকে তিন মাসের মধ্যে রেজিস্ট্রি করার শর্তে ২০১৯ সালের ২৩ জানয়ারিতে ৭৬ শতক জমি ক্রয়ের বায়না দলিল করেন সাজ্জাদুল হাসান আল মামুন শামীম। বায়নাৃত দলিল নম্বর ২০৯৪/২০১৯ জমির মুল্য পরিশোধ ও রেজিষ্ট্রি করে নিতে ব্যর্থ হয় এবং পরবর্তিতে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর আরআরএফ অফিস করার জন্য সরকারিভাবে ১০ একর জমি অধিগ্রহণ করেন। সেই জমি অধিগ্রহণে কামরুল হাসান গং এর ৪২.৩৩ শতক জমি অধিগ্রহণ হয়। এতে সাজ্জাদুল হাসান আল মামুন শামীম মনক্ষুন্ন হয়। 
এদিকে এ বছরের ৩ মার্চ সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে অধিগ্রহণকৃত জমির মুল্যবাবদ ভাইবোনের পক্ষে কামরুল হাসান ও রুহুল ইসলাম দুইভাই একটি ৫১ লাখ এবং অপরটি ৪ লাখ এর দুটি পে অর্ডার চেক গ্রহণ করেন। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের মাঠ থেকে কামরুল হাসান গং কে বাসায় পৌছে দেয়ার কথা বলে সাজ্জাদুল হাসান আল মামুন শামীম, মামুন মিয়া ও ড্রাইভার লিমন মিয়া জোরপূর্বক গাড়িতে তুলেন এবং জোরে গাড়ি চালিয়ে জাহাজকোম্পানীর মোড়ের দিকে যেতে থাকে। পথিমধ্যে অন্যদিকে গাড়ি নেয়ার উদ্দেশ্য জানতে চাওয়ার সাথে সাথে শামীম ও মামুন দুজনে কামরুল হাসান ও তার ভাই রুহুল ইসলামের গলায় ধারালো ছোড়া ধরেন এবং চুপ থাকতে বলেন এবং মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়। ষ্টেশন রোডস্থ পীরপুরের একটি ফার্নিচারের দোকানের দ্বিতীয় তলায় ঘরের মধ্যে আটক করে কিল ঘুষি মারে এবং প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে জোরপূর্বক কামরুল হাসানের অ্যাকাউন্টের তিনটি চেকের পাতায় ৩২ লাখ টাকার সাক্ষর নেয়। সেই সাথে একশত টাকার ননজুডিশিয়াল ফাঁকা ষ্ট্যাম্পের সাক্ষর ও টিপ সই নেন। পরে আনুমানিক রাত ৯ টার দিকে কাউকে কিছু না বলার শর্তে মোবাইল ফোন দিয়ে ছেড়ে দেয়। 
কামরুল হাসান ৪ জানুয়ারিতে রংপুর মেট্রোপলিটন কোতয়ালী থানায়  শালবন মিস্ত্রিপাড়া তোফাইলুর রহমানের পূত্র সাজ্জাদুল হাসান আল মামুন শামীম, সওবাজারের মামুন মিয়া ও ড্রাইভার লিমন মিয়াকে আসামী করে মামলা করেন। 
মামলায় সাজ্জাদুল হাসান আল মামুন শামীম গং উচ্চ আদালতে পুলিশের চার্জশীট দেয়া পর্যন্ত অস্থায়ী জামিন প্রদান করেন। 
পুলিশ চুড়ান্ত তদন্ত সাপেক্ষে সাজ্জাদুল হাসান আল মামুন শামীম, মামুন ও লিমনকে অভিযুক্ত করে চার্জশীট দাখিল করেন। 
এই মামলায় রোববার ২৭ জুন সিনিয়র জুডিশিয়াল-১ দেলোয়ার হোসেন এর আদালতে স্থায়ী জামিন আবেদন করলে উচ্চ আদালতের জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। আসামীর পক্ষে নিযুক্ত আইনজীবি ছিলেন আব্দুল হক প্রামানিক।