রংপুরে তিস্তা মহাপরিকল্পনার প্রথম ধাপের কাজ উদ্বোধনের দাবি
স্টাফ রিপোর্টার ♦ তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে প্রথম ধাপের কাজ উদ্বোধনের দাবিতে রংপুরে মানববন্ধন সমাবেশে করেছে “তিস্তা বাঁচাও, নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদ”।শনিবার দুপুরে প্রেসক্লাব প্রাঙ্গনে সংগঠনের সভাপতি নজরুল ইসলাম হক্কানীর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, সাধারণ সম্পাদক শফিয়ার রহমান, স্টাডিং কমিটির সদস্য সাদিকুল ইসলাম, বখতিয়ার হোসেন শিশির, মনোয়ারুল ইসলাম, আব্দুর রাজ্জাক, দেলোয়ার হোসেনসহ অন্যরা।
বক্তারা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুপ প্রভাবে গোটা তিস্তা অববাহিকার পরিবেশ ও পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। উজানে তিস্তার উপর অপরিকল্পিতভাবে জলবিদ্যুৎ বাঁধ নির্মাণ ও খাল কেটে একতরফাভাবে পানি প্রত্যাহার করায় পরিস্থিতি বিপদজনক হয়ে উঠেছে। এছাড়া সিকিমের পাহাড়ের চুড়ায় জমাট বরাফ বায়ুমন্ডলের উষ্ণতার কারণে দ্রুত গলে যাচ্ছে। এরই প্রেক্ষিতে চলতি অক্টোরব মাসের প্রথম সপ্তাহে হড়পা বান ও মেঘভাঙ্গা বৃষ্টিতে মহা বিপর্যয় নেমে এসেছিল সিকিমে। আগামীতে তিস্তার উজানের সাথে ভাটিতেও এ ধরনের দূর্যোগ নেমে আসার শংঙ্কা দেখা দিয়েছে। তিস্তার এমন দশায় গত ২ আগস্ট রংপুর জিলা স্কুল মাঠে লাখো মানুষের উপস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের ঘোষণা দেন। এতে রংপুরের মানুষ আশায় বুক বাঁধেন। মানববন্ধন সমাবেশে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা কার্যকর করার লক্ষ্যে একনেক সভায় অর্থ বরাদ্দ ও উদ্বোধনের দাবী জানান বক্তারা।
তিস্তা বাঁচাও, নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদ সভাপতি নজরুল ইসলাম হক্কানী বলেন, বৈশ্বিক মন্দার কারণে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন ধাপে ধাপে করার প্রস্তাব করছি। সরকারের আন্তরিক স্বদিচ্ছা থাকলেও জলবায়ু বাজেট থেকে প্রথম ধাপে অর্থ বরাদ্দ দিতে পারে। শত বছরের উন্নয়ন বৈষম্যের শিকার এ জনপদকে উন্নয়নের মহাসড়কে সম্পৃক্ত করতে তিস্তা মহাপরিকল্পনাই যথেষ্ট। ৫ বছর মেয়াদী এ প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রথম ধাপে প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা লাগবে। প্রধানমন্ত্রীর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের অপেক্ষায় উত্তরের লাখো মানুষ চেয়ে আছে। আমরা চাই অবিলম্বে বহুল কাঙ্খিত এ কাজ শুরু হোক।