ক্যান্সার চিকিৎসায় রংপুর ইনমাসে পেট সিটি স্ক্যান যন্ত্র স্থাপনের দাবি

ক্যান্সার চিকিৎসায় রংপুর ইনমাসে পেট সিটি স্ক্যান যন্ত্র স্থাপনের দাবি

স্টাফ রিপোর্টার ♦ উত্তরাঞ্চলের ক্যান্সার রোগীদের রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসায় পেট সিটি স্ক্যান যন্ত্র স্থাপনের দাবি উঠেছে ইন্সটিটিউট অব নিউক্লিয়ার মেডিসিন এন্ড এ্যালায়েড সায়েন্স (ইনমাস) রংপুরের শুদ্ধাচার বিষয়ক সভায়। রোববার সকালে প্রতিষ্ঠান মিলনায়তনে সভায় ইনমাস রংপুরের পরিচালক অধ্যাপক ডাঃ মোঃ মোর্শেদ আলীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) রেখা রানী বালো।  বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, রংপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডাঃ বিমল চন্দ্র রায়, রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিভাগের প্রধান ডাঃ আরএম সুজা উদ্দৌলা, মেডিসিন বিভাগের সহযোগি অধ্যাপক ডাঃ এমএ ওয়াহাব।  সভায় রোগ নির্ণয় করতে আসা সেবাগ্রহীতা ইসমাইল হোসেন, সামসুজ্জামানসহ অন্যরা বলেন, উত্তরাঞ্চলে অনেক ভাল চিকিৎসক থাকলেও শুধুমাত্র সঠিক রোগ নির্ণয়ের অভাবে রোগীদের ভাল চিকিৎসা হচ্ছে না। ফলে হাজার হাজার রোগী প্রতি বছর ভারতে গিয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে। ইনমাস একটি দালাল মুক্ত এবং স্বল্পমূল্যে সেবা পাওয়ার একটি প্রতিষ্ঠান হলেও সাধারণ মানুষের জানার অভাবে সরকারী এ সেবা নিতে পারছে না। অপরদিকে উত্তরাঞ্চলে ক্যান্সারের রোগী বেড়ে যাওয়া রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসায় পেট সিটি স্ক্যান যন্ত্র স্থাপন জরুরী হয়ে পড়েছে।

সভার প্রধান অতিথি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) রেখা রানী বালো বলেন, সরকার ভতর্‚কির অংশ হিসেবে ইনমাস থেকে সেবাগ্রহীতাদের স্বল্পমূল্যে রোগ নির্ণয়ের সুবিধা দিয়ে যাচ্ছেন। এখানে রোগ নির্ণয়ের সাথে থাইরয়েড রোগের চিকিৎসাও করা হচ্ছে। সরকারের এ সুবিধা সর্বস্তরে পৌঁছে দিতে সকলকে এক যোগে কাজ করতে হবে। এছাড়া বাহিরে পরীক্ষার সুযোগ নেই এমন কিছু পরীক্ষাও এখানে হয়। আমরা চাই স্বচ্ছতার সাথে সরকারের এ সেবা জনগণ পাক। রংপুর ইনমাসে যেন ক্যান্সার রোগের চিকিৎসা করা সম্ভব হয় সেলক্ষ্যে পেট সিটি স্ক্যান মেশিন স্থাপনে সংশ্লিষ্টদের জানানো হবে। এর আগে মাল্টিমিডিয়া উপস্থাপনায় জানানো হয়, বাংলাদেশ পরমানু শক্তি কমিশনের অধীনে পরিচালিত ইন্সটিটিউট অব নিউক্লিয়ার মেডিসিন এন্ড এ্যালায়েড সায়েন্স রংপুর থেকে ২০১৮ থেকে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত মোট ৯৭ হাজার ৮৫৯জন সেবা নিয়েছেন। এতে সরকারের রাজস্ব আয় হয়েছে ৫ কোটি ৬৬ লাখ ৯৯ হাজার ৫৫০ টাকা। এ প্রতিষ্ঠানে ৫ জন পরমানু মেডিসিন চিকিৎসক, ১০ জন কারিগরি কর্মকর্তা এবং ১৮ জন বৈজ্ঞানিক ও ল্যাব সহকারী কাজ করছেন।