ফিস্টুলা রোগ ও চিকিৎসা নিয়ে রংপুরে ল্যাম্ব হাসপাতালে মতবিনিময় (ভিডিও)

বিভাগের ৮ জেলায় ৯০ রোগী শনাক্ত করে অপারেশনের মাধ্যমে ৬৭ রোগীকে সুস্থ করেছে ল্যাম্ব হাসপাতাল

নভেল চৌধুরী ♦ ‘প্রসবজনিত ফিস্টুলা বিশ^জুড়ে নারীদের দীর্ঘস্থায়ী ও জটিল রোগে রংপুর বিভাগের ৮ জেলায় ৯০ রোগী শনাক্ত করে অপারেশনের মাধ্যমে ৬৭ রোগীকে সুস্থ করা হয়েছে। সরকারের পাশাপাশি এ প্রকল্পের অধীনে ল্যাম্ব ফিস্টুলা নির্মূলের লক্ষ্যে রংপুর ও রাজশাহী বিভাগে কাজ করে যাচ্ছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর ও জাতিসংঘ তহবিল ও বাংলাদেশের কারিগড়ি সহায়তায় রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের ছয় জেলায় আক্রান্ত রোগীকে অপারেশন ও পুর্নবাসনে সার্বিক সহায়তাও করা হচ্ছে। রংপুরে আন্তর্জাতিক প্রসবজনিত ফিস্টুলা নির্মূল দিবস পালন উপলক্ষ্যে রংপুর পাবলিক লাইব্রেরী হল রুমে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়ে ল্যাম্ব ইউএনএফপিএ ফিস্টুলা প্রকল্পের কর্মকর্তারা এতথ্য জানান। আলোচনায় বলা হয়, বাল্যবিবাহ, কম বয়সে বাচ্চা নেয়া, অদক্ষ ধাত্রীর মাধ্যমে প্রসব করানো, তলপেট, জরায়ুতে অপারেশন ও সচেতনতার অভাবে ফিস্টুলা রোগ হয়। এ রোগে নারীদের মাসিকের রাস্তা দিয়ে অনবরত প্রসাব ও পায়খানা ঝরতে থাকে। ফলে সংসার ভাঙ্গাসহ তাদের জিবন দুর্বিষহ হয়ে উঠে। বিশ^জুড়ে এ রোগে প্রায় ২০ হাজার রোগী আক্রান্ত রয়েছে। আক্রান্তরা সামাজিকভাবে লাঞ্চিত, অপমানিত ও পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এ সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্য সচেতনতার লক্ষ্যে ল্যাম্ব নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। প্রকল্প ব্যবস্থাপক মাহাতাব লিটনের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন, রংপুর প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বাপ্পী, সিনিয়র সাংবাদিক মেরিনা লাভলী, ল্যাম্ব-ইউএনএফপিএ’র প্রকল্পের জেলা সমন্বয়কারী মঞ্জু আরা বেগম। ল্যাম্ব হাসপাতালের চিকিৎসক ডাঃ তাহমিনা খাতুন সনিয়া জানান, দেশের মাতৃমৃত্যু হার কমলেও ফিস্টুলা রোগী বেড়েছে। অদক্ষ ধাত্রী দিয়ে প্রসব করানো, প্রসব বাধাগ্রস্থ ও দীর্ঘ সময় পর হওয়ায় নারীরা নিজের অজান্তে ফিস্টুলা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। এছাড়া বাল্য বিবাহ, অল্প বয়সে গর্ভধারণ, দারিদ্র্য, পুষ্টিহীনতা, পরিবার-পরিকল্পনার অভাব ও জরুরী প্রসুতি যতেœর অভাবে এ রোগ বাড়ছে।