এখন মনে হচ্ছে বিষ খেয়ে জীবন শেষ করে দেই

এখন মনে হচ্ছে বিষ খেয়ে জীবন শেষ করে দেই
ছবি: নিউজডোর

স্টাফ রিপোর্টার ♦‘এখন মনে হচ্ছে বিষ খেয়ে জীবন শেষ করে দেই। আমাদের পক্ষে সংসার চালানো আর সম্ভব হচ্ছে না। মাস্টার্স কমপ্লিট করে অফিস সহকারী হিসেবে চাকুরীতে যোগ দিয়েছি। আমরা এখন সরকারী কলেজে বেসরকারী কর্মচারী। আমরা অবহেলিত, বেতন কম, সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন দেশের কোন মানুষ তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে না, না খেয়ে থাকবে না। তিনি ভিক্ষুক পূর্ণবাসন করেছেন, প্রতিবন্ধীদের উন্নয়নে কাজ করেছেন, ঘরহীন মানুষকে জমিসহ ঘর দিয়েছেন। তবে আমরা দেশের শিক্ষা নিয়ে কাজ করা কর্মচারীরা কেন ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হবো।

বুধবার (১১ অক্টোবর) সকালে রংপুর সরকারী বেগম রোকেয়া কলেজ প্রাঙ্গনে সরকারী কলেজের বেসরকারী কর্মচারীদের অনির্দিষ্টকালের এক ঘন্টা কর্মবিরতি চলাকালীন ওই কলেজের অফিস সহকারী মনিরা খাতুন কান্না জড়িত কন্ঠে এসব কথা বলেন। সরকারী কলেজে বেসরকারী কর্মচারী হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে সেবা দেওয়া মনিরা খাতুনের মত আব্দুল মতিন, সৈয়দ নাসির আলী, নুর মোহাম্মদ, রফিকুল ইসলাম, প্রদীপ কুমার রায়, রতমন কুমার রায়, মনিরা সুলতানা, সবুজ কুমার রায়, অবিনাশ চন্দ্র রায়সহ অন্যরা চাকুরী রাজস্ব খাতে স্থানান্তর, চাকুরী রাজস্বখাতে স্থানান্তরের পূর্ব পর্যন্ত সরকারী বেতন স্কেল অনুযায়ী বেতনভাতাদি প্রদান এবং নতুন নিয়োগ বন্ধসহ কর্মরত বেসরকারী কর্মচারীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নিয়োগ প্রদানের দাবীতে গত ৫ অক্টোবর থেকে এক ঘন্টার কর্মবিরতি পালন করে আসছেন।

সরকারী কলেজে বেসরকারী কর্মচারী ইউনিয়নের রংপুর বিভাগীয় সভাপতি আব্দুল মতিন বলেন, রংপুর বিভাগের ৩৬০টি সরকারী কলেজের ১ হাজার ১০ জন বেসরকারী কর্মচারীরা তাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করে চলেছেন। দ্রব্য মূল্যের উর্ধ্বগতির বাজারে সামান্য বেতন পেয়ে আমাদের অনাহারে-অর্ধাহারে দিনাতিপাত করতে হচ্ছে। তিন দফা দাবীতে দীর্ঘদিন ধরে আমরা মানববন্ধন, কর্মবিরতি, স্মারকলিপি প্রদানসহ জাতীয় প্রেসক্লাবে প্রায় ১৮ দিন অনশন করেছে। গত ৩ বছরে আগে সেই অনশনে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তারা আমাদের তিন দফা দাবী মানা হবে বলে অনশন ছেড়ে কাজে যোগদানের আহŸান জানান। এরপর আমরা কাজে যোগ দেই। কিন্তু এখন পর্যন্ত আমাদের সেই দাবী বাস্তবায়ন হয়নি।