রংপুরে ৩০৬ যুবক-যুবতীকে ব্যবসায়িক উপকরণ দিলো এমজেএসকেএস

রংপুরে ৩০৬ যুবক-যুবতীকে ব্যবসায়িক উপকরণ দিলো এমজেএসকেএস
মঙ্গলবার ডিসি অফিসের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ডিসি মো: আসিব আহসান

স্টাফ রিপোর্টার ♦ মুজিব জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে রংপুরের ৩০৬ জন যুবক যুবতীকে প্রশিক্ষণ পরবর্তী  উপকরণ সামগ্রী বিতরণ করলো মহিদেব যুব সমাজ কল্যান সমিতি-এমজেএসকেএস। এই উদ্যোগ প্রান্তিক জনপদের বেকার জনগোষ্ঠিকে স্বাবলম্বী করে সরকারের এসডিজি বাস্তবায়নে সহযোগিতা করবে বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা। 

মঙ্গলবার ডিসি অফিসের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ডিসি মো: আসিব আহসান। রংপুর যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ দিলগীর আলমের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন এডিসি (সাধারণ) মোঃ গোলাম রব্বানী, বিআরটিএ  সহকারী পরিচালক (ইঞ্জিঃ) মোঃ ফারুক আলম, পীরগঞ্জ উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ আব্দুর রশিদ, ভলেন্টারি সার্ভিস ওভারসিস-ভিএসও  প্রকল্প ব্যবস্থাপক মোঃ শফিকুর রহমান,  মহিদেব যুব সমাজ কল্যান সমিতি-এমজেএসকেএস এর উপ পরিচালক অমল কুমার মজুমদার, প্রেসক্লাব সভাপতি রশিদ বাবু, সাধারণ সম্পাদক রফিক সরকার,  পীরগঞ্জ উপজেলা সিটিজেন কমিটির সভাপতি সাজেদুল ইসলাম মুকুল প্রমুখ। এমজেএসকে এস এর ইয়ুথ এমপ্লয়মেন্ট প্রকল্পের কো-অর্ডিনেটর মো. ইলিয়াস আলীর সঞ্চালনায়  এসময় আরও বক্তব্য রাখেন প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত মোবাইল ফোন সার্ভিসিং ব্যবসায়ি মো. আশরাফুল আলম, ইলিকট্রিক্যাল হাউস ওয়ারিং ব্যবসায়ি কার ড্রাইভার মোছা. সবরী খাতুন, পাট ভিত্তিক পণ্য উৎপাদক  মোছা. কহিনুর বেগম, গার্মেন্টস ঝুট পাপস প্রস্তুতকারক মোছা. রুনা লায়লা, ইনকিউবেটর নুর মোহাম্মদ মাসুদ, মো. মোজাহিদুল ইসলাম প্রমুখ। 

 এসময় আয়োজক কর্তৃপক্ষ বলেন ভিএসও বাংলাদেশের সহায়তায়-এমজেএসকেএস  কারিগরি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে যুবদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি প্রকল্পের আওতায় রংপুরের পীরগঞ্জ, তারাগঞ্জ ও মিঠাপুকুর উপজেলার ৩০৬ জন যুব-যুবাকে মোবাইল ফোন সার্ভিসিং, ইলিকট্রিক্যাল হাউস ওয়ারিং, কার ড্রাইভিং, এসি-ফ্রিজ সার্ভিসিং, সোলার টেকনোলোজি, কম্পিউটার-আইসটি, গার্মেন্টস ঝুট দিয়ে পাপস তৈরী, পাট ভিত্তিক পণ্য উৎপাদন, দেশী মুরগি পালন, ছাগল-ভেড়া পালন বিষয়ে আবাসিক- অনাবাসিক বিষয়ে সফলভাবে কারিগরি প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে।  এবং আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের মধ্যে সংশ্লিষ্ট ব্যবসার প্রয়োজনীয় উপকরণ বিতরণকরা হলো।আয়োজকরা আরও বলেন প্রত্যেক যুব উদ্যোক্তার মাসিক আয় ৩ হাজার ৫০০ টাকা অতিক্রম না করা পর্যন্ত দক্ষ স্বেচ্ছাসেবক এবং প্রকল্প কর্মকর্তাদের মাধ্যমে সহযোগিতা চলমান রাখা হবে। 

 প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডিসি বলেন,  প্রান্তিক জনপদের বেকার যুবক যুবতীদের আত্মকর্মসংস্থান তৈরির মাধ্যমে স্বাবলম্বী করতে এমজেএসকেএস এই উদ্যোগ জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট লক্ষ্যমাত্রা-২০৩০ এবং সরকার ঘোষিত রুপকল্প-২০২১ বাস্তবায়ন এবং এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা ১,২,৩,৪,৫ও ৮ অর্জনে সরাসরি কার্যকর ভূমিকা রাখবে।