রংপুরে ঐতিহাসিক ক্যান্টনমেন্ট ঘেরাও দিবসে পালিত

রংপুরে ঐতিহাসিক ক্যান্টনমেন্ট ঘেরাও দিবসে পালিত

এহসানুল হক সুমন ♦ রংপুরে ঐতিহাসিক ক্যান্টনমেন্ট ঘেরাও দিবস উপলক্ষ্যে দিনব্যাপী নানা কর্মসূচী পালিত হয়েছে। রোববার সকালে নগরীর নিসবেতগঞ্জ ‘রক্তগৌরব’ এ ২৮ মার্চ ক্যান্টনমেন্ট ঘেরাও কর্মসূচীতে নিহত শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে পুস্পার্ঘ্য অপর্ণ করে, জেলা প্রশাসক আসিব আহসান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইসরাত সাদিয়া সুমি, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা। এ সময় শহিদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।

এদিকে ক্যান্টনমেন্ট ঘেরাও কর্মসূচীতে শহিদদের আত্মত্যাগ নতুন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দিতে নগরীতে মিছিল হয়েছে। দুপুরে জিলা স্কুল থেকে মিছিলটি বের হয়ে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। তীর, ধনুক, বল্লমে সজ্জিত হয়ে মিছিলে অংশ নেন, রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা একেএম মোজাম্মেল হক, ২০নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৌহিদুল ইসলামসহ নগরীর বিভিন্ন সামাজিক, সাংষ্কৃতিক ও পেশাজীবি সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা। মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছর পেরিয়ে গেলেও ক্যান্টনমেন্ট ঘেরাও কর্মসূচীতে অংশ নেয়া নিহতরা শহিদের স্বীকৃতি পায়নি। দেশের স্বাধীনতার ইতিহাসে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীদের সাথে এটিই প্রথম মুখোমুখি সংগ্রাম ছিল। সেদিন অকাতরে প্রাণ দিয়েছে হাজার হাজার মানুষ। এ সময় বক্তারা দিবসকে রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনের দাবীও জানান। 

উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ আনুষ্ঠানিকভাবে মুক্তিযুদ্ধ শুরুর পরপরই স্বাধীনতার জন্য মুখিয়ে থাকা রংপুরবাসী ২৮ মার্চ পাকিস্তানি বাহিনীর ঘাঁটি ‘ক্যান্টনমেন্ট’ ঘেরাও করে। তীর-ধনুক, বল্লম, দা, বর্শা নিয়ে নিসবেতগঞ্জে সমবেত হয় ছাত্র, কৃষক, দিনমজুর, আদিবাসীসহ ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল পেশার সংগ্রামী মানুষ। এ সময় ক্যান্টনমেন্টের ভেতর থেকে জীপ গাড়িতে করে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীরা মেশিনগান দিয়ে আক্রমণ চালায় সংগ্রামী জনতার উপর। এতে সহস্রাধিক মানুষ শহিদ হয়ে বীরত্বের এক নতুন ইতিহাস রচনা করে।