বেরোবিতে মিছিল-মিটিং এবং প্রশাসনিক ভবনে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে বিক্ষোভ

বেরোবিতে মিছিল-মিটিং এবং প্রশাসনিক ভবনে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে বিক্ষোভ

বেরোবি প্রতিনিধি ♦ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) মিছিল-মিটিং, অবস্থান ধর্মঘট, বিক্ষোভ প্রদর্শন, শ্লোগান ও বক্তব্য প্রদানসহ প্রতিবাদমূলক কর্মকান্ডের প্রতি নিষেধাজ্ঞা জারির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। রবিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূলফটক সংলগ্ন পার্কের মোড়ে এ প্রতিবাদ কর্মসূচি করেন শিক্ষার্থীরা। প্রতিবাদ শেষে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দেয়া নিষেধাজ্ঞা ভেঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনভবনসহ বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করেন তারা।

শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, ‘বর্তমান উপাচার্য প্রফেসর ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ একজন স্বৈরশাসকের মত আচরণ করছেন। অনিয়ম-দুর্নীতি করতে করতে তিনি নিজেই অনিয়ম ও দুর্নীতির পাহাড় গড়ে তুলেছেন। তার এসব অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে যেন কেউ কথা বা প্রতিবাদ না করতে পারে সে কারণেই এমন উদ্ভট সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৪৪ ধারায় ন্যায় যে আইন করা হয়েছে তা বাকস্বাধীনতা হরণের শামিল। অতি দ্রুত উক্ত নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া না হলে ক্যা¤পাসে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলার হুশিয়ারী দেন শিক্ষার্থীরা।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করে শিক্ষার্থীরা বলেন- উত্তরবঙ্গের সন্তানদের যে উচ্চশিক্ষার আশায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছেন, তার সম্পূর্ণভাবে ভেস্তে দিচ্ছে ভিসি কলিমউল্লাহ। এই ভিসি তার নিয়োগের শর্ত অমান্য করে দিনের পর দিন ক্যাম্পাসে অনুপস্থিত থেকে ঢাকার লিয়াজোঁ অফিসে বসে বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মানকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছেন। 

এদিকে, নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে রবিবার পর্যন্ত আল্টিমেটাম দেয় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ। শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি তুষার কিবরিয়া বলেন, ‘রবিবারের মধ্যে এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা না হলে শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়ে স্বৈরাচারী এই সিদ্ধান্তের যথাযথ জবাব দেয়া হবে।’ এরআগে গতকাল শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের মূলফটক সংলগ্ন পার্কের মোড়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এই নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদ করেন ‘বঙ্গবন্ধু পরিষদ’। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সামাজিক- সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক  সংগঠনের নেতারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই নিষেধাজ্ঞার  প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, গত ৩১ জানুয়ারি ঢাকায় অনুষ্ঠিত হওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেটের ৭৫তম বিশেষ সভায় প্রশাসন ভবন, ভিসির বাংলো, একাডেমিক ভবন এবং শ্রেণিকক্ষের সামনে মিছিল-মিটিং, অবস্থান ধর্মঘট, বিক্ষোভ প্রদর্শন, শ্লোগান, বক্তব্য প্রদান ও মৌন মিছিলসহ প্রতিবাদের অংশ হিসেবে তালা লাগিয়ে প্রতিবাদের কর্মকান্ডে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। নোটিশে অনুমতি ছাড়া উপাচার্যের বাংলো ও প্রশাসনিক ভবনে কোন ব্যক্তি প্রবেশ করতে পারবে না বলেও উল্লেখ করা হয়