বেরোবিতে জাতীয় পতাকা অবমাননার ইস্যুতে  শিক্ষকদের দুঃখ প্রকাশ 

বেরোবিতে জাতীয় পতাকা অবমাননার ইস্যুতে  শিক্ষকদের দুঃখ প্রকাশ 

স্টাফ রিপোর্টার ♦ রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয় পতাকা অবমাননার ইস্যুতে দুঃখ প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন শিক্ষকরা। শনিবার বিকেলে ই-মেইলে পাঠানো বিবৃতিটি হুবুহু তুলে ধরা হলো :-

গত ১৬ ডিসেম্বর ২০২০ তারিখ বুধবার মহান বিজয় দিবস-২০২০ উপলক্ষে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর ক্যাম্পাসে অবস্থিত স্বাধীনতা স্মারক প্রাঙ্গণে শিক্ষকবৃন্দের তোলা কয়েকটি ছবিকে কেন্দ্র করে দেশব্যাপী সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আমাদের প্রাণের বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষকবৃন্দ সম্পর্কে দেশবাসীর যে নেতিবাচক মনোভাব তৈরি হয়েছে তার কারণে আমরা লজ্জিত ও মর্মাহত। লক্ষ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের লাল-সবুজ পতাকা নিয়ে অনিচ্ছাকৃত, অনভিপ্রেত ও অনাকাক্সিক্ষত এমন ঘটনার সৃষ্টি হওয়ায় আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি।

মহামারী কোভিড-১৯-এর কারণে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আয়োজিত সীমিত অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে সকাল ১০টা থেকে বিভিন্ন বিভাগ/দপ্তর ও সংগঠনের পক্ষ থেকে স্বাধীনতা স্মারকে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হয়। শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ শেষে সকাল আনুমানিক ১০.৩০ ঘটিকায় উপস্থিত প্রায় ২০-২৫ জন শিক্ষক স্বাধীনতা স্মারক প্রাঙ্গণ ত্যাগ করার সময় লাল সবুজের প্রতীক বা স্মারকসহ পর্যায়ক্রমে ছবি তোলেন। এটিকে আপাতদৃষ্টিতে পতাকাসদৃশ মনে হলেও এটি আনুষ্ঠানিক কোন পতাকা ছিল না।

তাছাড়া ছবি তোলার সময় শিক্ষকবৃন্দ এটিকে ভালোভাবে খেয়াল না করেই সেখানে দাঁড়িয়েছিলেন। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আয়োজিত অনুষ্ঠানে জাতীয় পতাকা নিয়ে স্বাধীনতা স্মারকে কোনো কর্মসূচি ছিল না। উক্ত বিষয়কে কেন্দ্র করে দেশব্যাপী অনেকেই মর্মাহত হয়ে এটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনা করছেন। আমরা কেউই উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে এই ঘটনা ঘটাইনি এবং আমাদের আবেগের পতাকা কোনোভাবেই মর্যাদাহানী হোক সেটা কারোরই কাম্য নয়। এই অপ্রত্যাশিত ঘটনার জন্য আমরা আবারো দুঃখ প্রকাশ করছি।

প্রেরিত বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন, ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক মোঃ শামী হোসেন, মার্কেটিং বিভাগের মোঃ মাসুদ-উল-হাসান, রসায়ন বিভাগের মোস্তফা কাইয়ুম শারাফাত, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের তাবিউর রহমান প্রধান, মোঃ রহমতুল্লাহ্, বাংলা বিভাগের ড. পরিমল চন্দ্র বর্মণ, গণিত বিভাগের আরএম হাফিজুর রহমান।