জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগ এনে বেরোবি’র ৯ শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের

জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগ এনে বেরোবি’র ৯ শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের

বেরোবি প্রতিনিধি ♦ জাতীয় পতাকা অবমাননার ঘটনায় রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯ শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ আরিফুল ইসলাম আরিফ। বৃহস্পতিবার বিকেলে তাজহাট থানায় এ অভিযোগ দায়ের করা হয়। 

এজহার সূত্রে জানা যায়, মহান বিজয় দিবসে দুপুর আড়াইটার দিকে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের স্মৃতিফলকের সামনে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তাবিউর রহমান প্রধান, বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক পরিমল চন্দ্র বর্মণ, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের প্রভাষক শামীম হোসেন, ইতিহাস ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের প্রভাষক সোহাগ আলী, মার্কেটি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও সহকারী প্রক্টর প্রভাষক রহমতুল্লাহ্, গণ যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কাইয়ুম ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের একান্ত সচিব (পিএস) মোঃ আমিনুর রহমানসহ অজ্ঞাত ৮ থেকে ১০ জন জাতীয় পতাকার সবুজের মাঝে লাল বৃত্তাকার অংশটি গোলাকার বিকৃত করে আয়তকার করে বানিয়েছিলেন। পতাকা যেখানে উচ্চমূখী হবে, সেখানে ওই শিক্ষকরা জাতীয় পতাকার অবমাননা করে পতাকা পায়ের নিচে ফেলে এবং ইতিহাস ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের প্রভাষক সোহাগ আলী সেই ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকে পোস্ট করে। 

এ ব্যাপারে আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই শিক্ষকরা স্বেচ্ছায় ও স্বজ্ঞানে জাতীয় পতাকার বিধিমালা অমান্য করেছে। বুধবার দিবাগত রাতে ওই শিক্ষকের ফেসবুক পোস্টটি আমার চোখে পড়ে। এরপর আমি স্ক্রিনশট গ্রহণ করে জেলা আওয়ামী লীগ, মহানগর ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দকে দেখাই। ৯ মাস রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের পর আমরা যে লাল-সবুজের পতাকা অর্জন করেছি তা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই শিক্ষকরা বিজয় দিবসে অবমাননা করেছে। তাই আমি একজন দেশপ্রেমী হিসেবে ওই শিক্ষকদের অভিযুক্ত করে তাজহাট থানায় মামলা দায়ের করেছি। আশাকরি পুলিশ প্রশাসন তদন্তপূর্বক দ্রুত তাদের গ্রেফতারসহ শাস্তি নিশ্চিত করবে। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তাবিউর রহমান প্রধান বলেন, মহান বিজয় দিবসে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে আমরা ক’জন শিক্ষক ব্যানার মনে করে দাঁড়িয়ে ফটোসেশনে অংশ নেই। সেটি যে বিকৃত জাতীয় পতাকা তা আমরা ঘুনাক্ষরেও বুঝতে পারেনি। এই ছবিটি ফেসবুকে দিয়ে আমাদের বিপাকে ফেলা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষক তার ফেসবুক ওয়ালে ছবিটি পোস্ট করে ভাইরাল করেছে। বিকৃত জাতীয় পতাকা, ফটোসেশন সবকিছুই আমাদের অনিচ্ছাকৃতভাবে হয়েছে। 

তাজহাট থানার ওসি আখতারুজ্জামান প্রধান বলেন, জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগ এনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯ শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। যেহেতু ফেসবুকে ছবি পোস্ট করা হয়েছে তাই বিষয় যাচাই-বাছাই করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

এদিকে জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগ মানববন্ধন সমাবেশে করেছে মহানগর যুবলীগ। বৃহস্পতিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে মানববন্ধন সমাবেশে অভিযুক্ত ওই শিক্ষকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানান বক্তারা। এতে বক্তব্য রাখেন, মহানগর যুবলীগের সভাপতি এবিএম সিরাজুম মনির বাশার, সাধারণ সম্পাদক মুরাদ হোসেনসহ যুবলীগের নেতৃবৃন্দ।