দেশে আইসিইউ বেডের জন্যে হাহাকার
নিউজডোর ডেস্ক ♦ বেসরকারি একটি ব্যাংকের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা চন্দন বড়ুয়া। সস্ত্রীক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন গত ৬ এপ্রিল। এরপর মহাখালী ডিওএইচএস-এর বাসাতেই চিকিৎসা নিচ্ছিলেন ষাটোর্ধ্ব চন্দন বড়ুয়া ও তার স্ত্রী।
শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু, ফাঁকা নেই সরকারি হাসপাতালের বেড। ৮ এপ্রিল ভর্তি হন বেসরকারি একটি হাসপাতালে। ওই দিনই শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে চন্দন বড়ুয়ার। চিকিৎসকরো জানিয়ে দেন তাকে দ্রুত আইসিইউ’তে (নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র) নিতে। কিন্তু ফাঁকা নেই আইসিইউ বেড। উপর মহলে যোগাযোগ করে সরকারি কিংবা বেসরকারি হাসপাতালে আইসিইউ বেড পাননি।
ঢাকার হাসপাতাল গুলোতে প্রতিদিনই এরকম চিত্র দেখতে পাওয়া যায়। কেউ কেউ ভাগ্যের জোরে আইসিইউ বেড পেলেও বেশিরভাগই পাচ্ছেন না আইসিইউ বেড। এই আইসিইউ বেড না পাওয়ায় তিলে তিলে মৃত্যুর মুখে ঢোলে পড়ার চিত্র দেখতে হচ্ছে স্বজনদের।
করোনার সংক্রমণ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে সঙ্কটাপন্ন রোগীর সংখ্যাও। যাদের প্রয়োজন হচ্ছে আইসিইউ বেডের। কিন্তু অনেক জেলায় এ সেবা না থাকায় রোগীরা ছুটছেন ঢাকার দিকে। তবে বেড খালি না থাকায় ভয়াবহ অবস্থা তৈরি হয়েছে হাসপাতালগুলোতে।
এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. ফরিদ হোসেন মিঞা বলেন, বিভিন্ন হাসপাতালে আইসিইউ বেড বাড়ানোর কাজ চলছে। হাসপাতালে আইসিইউ বেড বাড়ানো সমস্যা নয়, সমস্যা দক্ষ জনবলের। আইসিইউ ইউনিট চালানোর জন্যে দক্ষ চিকিৎসক, নার্স-ব্রাদারের প্রয়োজন হয়। সেই জনবলের সংকট আছে আমাদের।
দেশে করোনা রোগীদের চিকিৎসার নির্ধারিত রয়েছে ১০টি সরকারি হাসপাতাল। যেখানে সাধারণ বেড রয়েছে ২ হাজার ৭৩৬টি। রোগী ভর্তি রয়েছে ২ হাজার ৪৪৯ জন। ফাঁকা আছে ২৩৭টি বেড। অন্যদিকে করোনার চিকিৎসার জন্যে নির্দিষ্ট ১০টি সরকারি হাসপাতালতে আইসিইউ বেড রয়েছে ১৩২টি। রোগী ভর্তি রয়েছেন ১২৫টি আইসিইউ’তে। ফাঁকা রয়েছে মাত্র ৭টি।