দু’তিন দিনে বাড়বে শীতের অনুভূতি

দু’তিন দিনে বাড়বে শীতের অনুভূতি

অগ্রহায়ন মাস। হালকা শীতের পরশ বুলিয়ে দিচ্ছে প্রকৃতি। সন্ধ্যার পর থেকে হালকা কুয়াশা জানান দিচ্ছে শীতের।হেমন্তের মাঝামাঝি রাজধানীসহ দেশের কোথাও গুঁড়ি গুঁড়ি, কোথাও বা হালকা বৃষ্টি হচ্ছে। এর প্রভাবে দুই থেকে তিন দিন পর শীতের অনুভূতি বাড়বে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।

আবহাওয়াবিদ মো. আরিফ হোসেন বলেন, কোনো লঘুচাপ নেই। তবে পশ্চিমবঙ্গ ও সংলগ্ন এলাকায় লঘুচাপের বর্ধিতাংশের প্রভাবে দেশের কোথাও কোথাও বৃষ্টি হয়েছে। হেমন্তের মাঝামাঝি এই সময়ে শীত এখনও আসেনি, তবে অনুভূতি বাড়িয়ে দেবে এই বৃষ্টি। তিনি বলেন, বৃষ্টি কেটে যাওয়ার পর অন্তত তিন-চার দিন রাতের তাপমাত্রা কমতে পারে। কোথাও কোথাও ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত সর্বনিম্ন তাপমাত্রা হতে পারে। এতে শীতের অনুভূতি স্বাভাবিকভাবেই বেড়ে যাবে। কয়েক দিনের মধ্যে কোনো লঘুচাপের শঙ্কা নেই বলে জানান তিনি।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস বলছে, এই মেঘলা আবহাওয়া ও থেমে থেমে বৃষ্টি আজ শনিবারও চলতে পারে। আগামীকাল থেকে বাংলাদেশের আকাশ থেকে মেঘ সরে যাবে। এরপর তাপমাত্রা কমলে দেখা দেবে শীত।এদিকে শুক্রবার হঠাৎ বৃষ্টির কারণে খানিকটা দুর্ভোগে পড়েন রাজধানীবাসী।

আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, দেশের বিভিন্ন এলাকার আকাশে উড়ে আসা মেঘ এসেছে মূলত সুদূর আরব সাগর থেকে। সেখানে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপ এগোচ্ছে ইয়েমেন উপকূলের দিকে। কিন্তু ওই নিম্নচাপ থেকে একখণ্ড মেঘমালা ভারত মহাসাগর হয়ে বঙ্গোপসাগর দিয়ে প্রবেশ করেছে বাংলাদেশে। যার সঙ্গে রয়েছে আরব সাগরের শুস্ক পূবালি বায়ু। উল্টো দিক থেকে নেপাল ও হিমালয় হয়ে শীতল উত্তরের হাওয়া পঞ্চগড় দিয়ে এসেছে বাংলাদেশে। জলীয় বাষ্পে পূর্ণ পূবালি বাতাস ও উত্তরের শুস্ক হিমেল বাতাসের সংঘাতে দেশের বায়ুমণ্ডলে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। উত্তরের বাতাস ও পূবালি বাতাসের সংঘাতের কারণেই দেশের বিভিন্ন স্থানে ঝোড়ো বাতাস তৈরি হয়েছে।