গঙ্গাচড়ায় অবৈধ আয়ে অল্পদিনেই কোটিপতি ভূমি অফিস সহায়ক ভূপতি
ছেলের চাকুরীর জন্য এক ব্যক্তিকে দিয়েছেন ৭ লাখ টাকা উৎকোচ।
নির্মল রায় (গঙ্গাচড়া) ♦ রংপুরের গঙ্গাচড়া সদর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে প্রায় ১০ বছর ধরে অফিস সহায়ক হিসেবে চাকুরী করে ভূপতি রায় নামে এক ব্যক্তি অর্থ উপাজর্নের মাধ্যমে কোটিপতি হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তার বাড়ি উপজেলা সদরের চেংমারী মান্দ্রাইন গ্রামে। অবৈধ উপার্জন দিয়ে রংপুর শহর, গঙ্গাচড়া কলেজ মোড়, মান্দ্রাইন গ্রামসহ বিভিন্ন স্থানে ক্রয় করেছেন নামে বে-নামে জমি। ছেলের চাকুরীর জন্য এক ব্যক্তিকে দিয়েছেন ৭ লাখ টাকা উৎকোচ।
ভুক্তভোগীরা ভূপতির বিরুদ্ধে স্থানীয় প্রশাসনসহ দুদককে অনুসন্ধান করার জন্য অনুরোধ জানান। সচেতন মহল মনে করেন তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করলে বেরিয়ে আসবে আসল রহস্য ও দুর্নীতির তথ্য।
অনুসন্ধান ও ভুক্তভোগী সুত্রে জানা যায়, জমি নামজারী করে দেয়া, খসরা-সহিমুরি, খতিয়ান তুলে দেয়া, খাজনা ও দাখিলার রশিদ করে দেয়াসহ জমিজমা সংক্রান্ত বিভিন্ন কাজ করে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি করেন প্রতিনিয়ত ধান্দাবাজি। কাজের বাহানায় বিভিন্ন লোকজন থেকে মোটা অংকের উৎকোচ নিয়ে আত্মসাৎ করার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। ইতিপূর্বে তার লাগামহীন দুর্নীতি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নজরে এলে দু-একবার তাকে বদলীসহ সতর্ক করা হয়। পুনরায় তিনি উপর মহলকে ম্যানেজ করে গঙ্গাচড়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসে চলে আসেন। অফিসের তহশীলদার / সহকারি তহশীলদারসহ অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বদলী হলেও বিভিন্ন কলাকৌশলে একই স্থানে দীর্ঘদিন রয়েছেন ভূপতি। গঙ্গাচড়া ভূমি অফিসকে দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত করে হাতিয়ে নিচ্ছেন লাখ লাখ টাকা। আর তার হাতে প্রতিনিয়তঃ ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সেবাপ্রত্যাশীরা।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ভূপতি তার বিরুদ্ধে সকল অভিযোগ অস্বীকার করেন।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শরীফুল আলম অফিস সহায়ক ভূপতির বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, তাকে কয়েকবার মৌখিক সতর্ক করেছি।