আলু-পেঁয়াজের দাম কবে কমবে, জানালেন বাণিজ্যমন্ত্রী

নিউজডোর ডেস্ক: বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এমপি বলেছেন, আলু চাহিদার তুলনায় সরবরাহের হিসাবে বড় ধরনের ফারাক রয়েছে। চাহিদার চেয়ে আলু বেশি উৎপাদন হলেও তা হয়তো অন্য কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। আমরা চেষ্টা করেছিলাম যেন ৩৬ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি হয়, কিন্তু ঢাকার মার্কেটে এখনও ৪২ থেকে ৪৩ টাকায় আলু বিক্রি হচ্ছে। নতুন আলু না উঠা পর্যন্ত যেন দাম সহনীয় মাত্রায় থাকে সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এছাড়া আলু হিমাগারে মজুদ রয়েছে কি না তা দেখা হচ্ছে। আগামী মাসে নতুন আলু উঠলে দাম কমে যাবে বলে আশা করছি। তিনি বলেন, পেঁয়াজের দাম সরকার নির্ধারণ করে দিয়েছে। কিন্তু ভারত ৪০ শতাংশ শুল্ক চাপিয়ে দেওয়ায় পেঁয়াজের দাম কমছে না। ভারতের পেঁয়াজ যখন ঢাকায় এসে পৌঁছাচ্ছে তখন সেটি ৬০ থেকে ৬৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। অপরদিকে আমাদের সারা বছর শতকরা ২০ ভাগ পেঁয়াজ ঘাটতি থাকে। এ বছর পেঁয়াজ উৎপাদনের সময় আমদানী বন্ধ রাখা হয়েছিল। ফলে পেঁয়াজের উপর এখন টান পড়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে নগরীর ধাপ সাগরপাড়া বাসভবন প্রাঙ্গনে ছয় দিনের সফরে এসে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, মুদ্রাস্ফীতির উপর আমদানী পণ্যের দাম নির্ভর করে। আগামী বছরের শুরুর দিকে যদি মুদ্রাস্ফীতি কমানো যায় তবে পণ্যের দাম অনেকখানি কমে যাবে। সরকার মুদ্রাস্ফীতি কমাতে চেষ্টা করছে। বাণিজ্য মন্ত্রী বলেন, টিপু মুনশি এমপি বলেন, চাহিদা ও যোগানের উপর দাম নির্ভর করে। পেঁয়াজ উঠতে শুরু করলে দাম কমে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হবে। আগামী এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে পেঁয়াজ উঠতে শুরু করবে। আলু উঠবে ডিসেম্বরের মধ্যে। তিনি আরও বলেন, আমদানী করা পণ্যের দাম বিশ্ব বাজারের উপর নির্ভর করে। আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমছে তাই, প্রতি মাসে আমরা ৫ থেকে ৭টাকা কমানোর চেষ্টা করছি। টিপু মুনশি বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সারা বছরই পরীক্ষা লেগে থাকে। ফলে মেলা হলে শিক্ষার্থীদের উপর এর কিছুটা প্রভাব পড়ে। নভেম্বরে বার্ষিক পরীক্ষা হবে আবার ফেব্রæয়ারীতে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হবে। আমাদের সার্বিক ভাবে ব্যালেন্স করেই চলতে হবে। বাণিজ্য মেলায় বাণিজ্য কতখানি হয় জানি না তবে সাধারণ মানুষের রিলাক্স করতে আসেন মেলায়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রনি, আওয়ামী লীগ নেতা কামরুজ্জামান তুহিনসহ অন্যরা।