রংপুরে ৭ দফা দাবিতে মায়ের কান্না সংগঠনের  সংবাদ সম্মেলন

রংপুরে ৭ দফা দাবিতে মায়ের কান্না সংগঠনের  সংবাদ সম্মেলন

স্টাফ রিপোর্টার ♦ রংপুরে ৭ দফা দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করেছে মায়ের কান্না সংগঠন। বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রংপুর পাবলিক লাইব্রেরী মাঠে সংগঠনের আহ্বায়ক কামরুজ্জামান মিঞা লেলিন সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জানান, ১৯৭৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসের শেষের দিকে জাপান রেড আর্মির সদস্যরা জাপান এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করে ঢাকা বিমান বন্দরে অবতরণ করে। সেই সময় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে তৎকালীন বিমান বাহিনীর প্রধানসহ সদস্যরা সার্বক্ষনিক নিয়োজিত ছিল। পহেলা অক্টোবর জিয়াউর রহমানের অনুগত বাহিনী ঢাকা সেনা ও বিমান বাহিনীর ছাউনিতে এলোপাথাড়ি গোলাগুলি করে শত শত ঘুমন্ত সৈনিককে জোর করে ব্যারাক থেকে অস্ত্রের মুখে বের করে নিয়ে আসে এবং পরবর্তীতে তাদের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থানের অভিযোগ এনে ক্যান্টমেন্টের ভেতরে বিভিন্ন নির্যাতন কক্ষে নিমর্মভাবে পিটিয়ে বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে শত শত সৈনিককে হত্যা করে। ফায়ারিং স্কোয়াড ও ফাঁসিতে ঝুলিয়ে প্রায় এক হাজার ১৫৬ জন সেনা ও বিমান বাহিনীর সদস্যকে খুন করে জিয়াউর রহমান। 
সংবাদ সম্মেলনে জিয়াউর রহমানের সামরিক ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে ১৯৭৭ সালের ২ অক্টোবর সেনা ও বিমান বাহিনীর ফাঁসি, কারাদন্ড ও চাকুরীচ্যুত সদস্যদের নির্দোষ ঘোষণা করা, তাদের তালিকা প্রকাশ, নিহত প্রত্যেককে স্ব-স্ব পদে সর্বোচ্চ র‌্যাংকে পদোন্নতি দেখিয়ে বর্তমান স্কেলে বেতন-ভাতা ও পেনশনসহ সরকারী সকল প্রকার সুযোগ-সুবিধা প্রদান, নিহতদের শহীদ হিসেবে রাষ্ট্রীয় ঘোষণা প্রদান, তাদের কবরস্থান চিহ্নিত করে নামসহ স্মৃতিস্তম্ভ তৈরী করা, নিহতদের পোষ্যদের যোগ্যতা অনুযায়ী সরকারী চাকুরীতে নিয়োগ প্রদান, জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচার এবং জাতীয় সংসদ এলাকা থেকে জিয়াউর রহমানের কবর অপসারনের দাবী জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, ১৯৭৭ সালের ২ অক্টোবর নিহত সেনা ও বিমান বাহিনীর পরিবারের সদস্য সাইদুর রহমান, খোরশেদুর রহমান প্রিন্স, নাজমুল হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর (অবসরপ্রাপ্ত) নাসিমসহ অন্যরা। 
এরপর জিয়াউর রহমানের সামরিক ষড়যন্ত্রের শিকার হওয়া নিহতদের এবং বিভিন্ন সময়ে বিএনপি-জামায়াতের তান্ডবে ক্ষতিগ্রস্থ-নির্যাতিত মানুষের ছবি নিয়ে পাবলিক লাইব্রেরী মাঠে তিন দিনব্যাপী আলোকচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন করা হয়। এর উদ্বোধন করেন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোছাদ্দেক হোসেন বাবলু। এ সময় বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা ছবিগুলো ঘুরে দেখেন।