রংপুরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ, ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা 

রংপুরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ, ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা 

জাভেদ ইকবাল, রংপুর থেকে: রংপুরে তারাগঞ্জ সয়ার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আল ইবাদত হোসেন পাইলটের (৪০) বিরুদ্ধে যুবতী ধর্ষণের অভিযোগ মামলা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ভুক্তভোগী যুবতী তারাগঞ্জ থানায় এ মামলা দায়ের করেন। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন, তারাগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্র্শক (তদন্ত) জহুরুল হক। 

মামলা সূত্রে জানা যায়, গত দুই বছর আগে ফার্মেসী থেকে ঔষধ কেনার সময় বকসীপাড়া কাজীপাড়ার হেফাজুল বকসি’র ছেলে সয়ার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আল ইবাদাত হোসেন পাইলটের সাথে প্রতিবেশি ওই যুবতীর পরিচয় হয়। এরপর মোবাইল ফোনে কথা বলার সময় ইউপি চেয়ারম্যান ইবাদত ওই যুবতীকে প্রেম ও শারীরিক সম্পর্কের প্রস্তাব দেয়। এতে রাজি না হলে ওই যুবতীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে ইউপি চেয়ারম্যান ইবাদত। এরপর চেয়ারম্যান খপ্পর থেকে সরে যেতে চাইলে ওই যুবতীর নামে এলাকায় মিথ্যা কথা রটানোর হুমকি দেয় ইউপি চেয়ারম্যান।

গত ২ অক্টোবর ওই যুবতীকে বিয়ের কথা বলে ইউপি চেয়ারম্যান কুর্শা ইউনিয়নের কুর্শা আদর্শ স্কুল এলাকায় তার বাসায় নিয়ে যায় এবং ধর্ষণ করে। পরদিন সকালে ভুক্তভোগী যুবতী ইউপি চেয়ারম্যান ইবাদতকে বিয়ের কথা বললে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেন। পরবর্তীতে ওই যুবতী তার পরিবারের সদস্যদের বিষয়টি জানালে পরিবারের লোকজন চেয়ারম্যানের বাড়িতে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে যায়। এসময় চেয়ারম্যান ইবাদত ওই যুবতীকে বিয়ে করবে না বলে জানায় এবং তার পরিবারের সদস্যদের বাড়ি থেকে বের করে দেয়।

এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার ভুক্তভোগী ওই যুবতী বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ইউপি চেয়ারম্যান ইবাদতের বিরুদ্ধে তারাগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। তারাগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্র্শক (তদন্ত) জহুরুল হক বলেন, ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে থানায় একটি ধর্ষণ মামলা হয়েছে। আসামীকে গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে। এ ব্যাপারে সয়ার ইউপি চেয়ারম্যান আল ইবাদত হোসেন পাইলটের সাথে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।