রংপুরের ‘ভদ্র’র দাম ২০ লাখ

চার বছর ধরে এই গরুটি লালন পালন করছেন গঙ্গাচড়ার তালুক হাবু

রংপুরের ‘ভদ্র’র দাম ২০ লাখ
রংপুরের ‘ভদ্র’

স্টাফ রিপোর্টার ♦ রংপুর জেলার সব থেকে বড় গরু দাবি করা হচ্ছে ‘ভদ্র’কে। দাম চাওয়া হচ্ছে ২০ লাখ টাকা চার বছর ধরে ফ্রিজিয়ান জাতের এই গরুটি লালন পালন করছেন গঙ্গাচড়া উপজেলার তালুক হাবু এলাকার খামারি রওশন পরম আদরের গরুর নাম রেখেছেন ‌‘ভদ্র ঈদকে ঘিরে  ‘ভদ্র’ ছাড়াও বেশ কয়েকটি গরু লালন পালন করেছেন এই খামারি কিন্তু এখনো পর্যন্ত কোনো গরুই বিক্রি করতে না পারায় তিনি এখন দুশ্চিন্তায় আছেন

গণমাধ্যমের সাথে আলাপকালে রওশন জানান, তার ফ্রিজিয়ান জাতের গরুর ওজন প্রায় ১৪০০ কেজি এর মূল্য হাঁকিয়েছেন ২০ লাখ টাকা কয়েকজন ক্রেতা বাড়িতে এসে ভদ্রকে দেখে গেছেন দাম এখন পর্যন্ত ১০ লাখ টাকার উপরে উঠেছে এতেও তিনি ভদ্রর গলার দঁড়ি হাত ছাড়া করেননি

জানা গেছে, ঈদকে সামনে রেখে ষ্টাইন ফ্রিজিয়ান, ব্রাহমা, শাহীওয়াল, ফ্রিজিয়ান, জার্সি শংকরসহ দেশীয় জাতের গরু পালন করেছে রংপুরের খামারীরা কিন্তু, কঠোর বিধিনিষেধে গরু বিক্রি নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তারা হাট না বসলে লোকসানের আশংকা করছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা এদিকে এবারও চাহিদার তুলনায় রংপুর জেলায় দেড় লাখেরও বেশি পশু রয়েছে

বদরগঞ্জ উপজেলার লালদিঘি এলাকায় গরু- ছাগলের খামার গড়েছেন শরিফুল ইসলাম কোরবানীকে ঘিরে ৫৫টি গরু ২৫টি ছাগল প্রস্তুত করেছেন এতে তার প্রচুর অর্থ বিনিয়োগ হয়েছে কিন্তু চলমান পরিস্থিতিতে গরু-ছাগল নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন

এই খামারি বলেন, অনেকেই যোগাযোগ করছে কিন্তু দাম উঠছে না বরং লকডাউন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পশুর দাম কমতে শুরু করেছে যদি পশুর হাট না বসে তাহলে ন্যায্য দাম পাওয়া যাবে এতে আর্থিকভাবে মারাত্মক ক্ষতিতে পড়তে  হবে

এদিকে, রওশন-শরিফুলই নয় একই রকম শঙ্কা প্রকাশ করেছেন রংপুর জেলার সাড়ে ১৮হাজার খামার মালিক চলমান বিধিনিষেধ আর বন্যার পদধ্বনিতে গরু বেচাকেনা নিয়ে বেশ চিন্তায় আছেন