মিঠাপুকুরে ১১’শ পরিবারকে খাদ্য সহায়তা প্রদান
নিম্নআয়ের এসব পরিবার ত্রাণ সহায়তা পেয়ে আনন্দিত

স্টাফ রিপোর্টার ♦ রংপুরের মিঠাপুকুরে আদিবাসী ও দলিত পরিবারের নিম্নআয়ের ১১০০ পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দিয়েছে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ডপস। প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতদরিদ্র ও নিম্নআয়ের এসব পরিবার ত্রাণ সহায়তা পেয়ে আনন্দ পেয়ে প্রকাশ করেন।
শুক্রবার (১৬ জুলাই) দুপুরে মিঠাপুকুর সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়। এসডিসি’র অর্থায়নে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ও ইউএনডিপি-হিউম্যান রাইটস্ অ্যান্ড জাস্টিস প্রোগ্রামের সহায়তায় খাদ্য সামগ্রী বিতরণ কার্যক্রমের আয়োজন করে ডপস।
বিতরণ কার্যক্রমে উপস্থিত ছিলেন মিঠাপুকুর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান নিরঞ্জন চন্দ্র মহন্ত, আদিবাসী-বাঙালি সংহতি পরিষদের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম বাবু, এনজিও অবলম্বন’র নির্বাহী পরিচালক প্রবীর চক্রবর্তী, ডপস’র নির্বাহী পরিচালক উজ্জ্বল চক্রবর্তী, মানবাধিকার কর্মী শহিদুল ইসলাম, আদিবাসী নেতা বাবলু লাল মার্ডি, উৎপল মিনজ প্রমুখ।
এর আগে সকাল থেকে বিভিন্ন এলাকা থেকে খাদ্য সহায়তা পেতে মডেল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জড়ো হতে থাকে সুবিধাভোগীরা। সকাল ১১টায় বিতরণ কার্যক্রম শুরু হলে স্বাস্থ্যবিধি হাতে হাতে পৌঁছে দেওয়া হয় খাদ্যসামগ্রীর প্যাকেট। সহায়তা হিসেবে দেওয়া প্রতিটি প্যাকেটের মধ্যে ১২ কেজি চাল, ৩ কেজি মসুর ডাল, ৬ কেজি আটা, ২ লিটার সয়াবিন তেলসহ এক কেজি করে লবণ, সুজি, চিনি ও চিড়া রয়েছে। সঙ্গে ছয়টি করে জীবাণুনাশক সাবান দেওয়া হয়।
কার্যক্রম প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ডপস এর নির্বাহী পরিচালক উজ্জ্বল চক্রবর্তী জানান, প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসের কারণে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবার ছাড়াও সমাজের পিছিয়েপড়া অবহেলিত জনগোষ্ঠী কষ্টে রয়েছে। বিশেষ করে জাতিগত সংখ্যালঘু ও দলিত পরিবার বিভিন্নভাবে সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত। এ সংকটকালে এই জনগোষ্ঠীর ২ হাজার পরিবারের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়। এর মধ্যে প্রথম ধাপে রংপুর সদরে ৯০০ পরিবারকে খাদ্যসামগ্রীর প্যাকেট দেওয়া হয়েছে।