রংপুরে মসজিদের ওয়াকফকৃত সম্পত্তি অবৈধভাবে বিক্রির অভিযোগ

মসজিদের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের কাছে জানতে চাইলে তারা দুজনই প্রসঙ্গ এড়িয়ে যায়।

রংপুরে মসজিদের ওয়াকফকৃত সম্পত্তি অবৈধভাবে বিক্রির অভিযোগ
মসজিদের জমি

স্টাফ রিপোর্টার ♦ রংপুর মহানগরীর তাজহাট থানাধীন ৩২নং ওয়ার্ডের তালুক তামপাট শান্তিপাড়ায় মসজিদের ওয়াকফকৃত সম্পত্তি অবৈধভাবে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। 
মসজিদ কমিটি ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, তালুক তামপাট মোগলের বাগ জামে মসজিদের নামে ওয়াকফকৃত সম্পত্তি যার আর,এস,বি,এস রেকর্ড মসজিদের নামেই সম্পাদিত হয় এবং দখলাদি মসজিদের ইতিপূর্বে ছিল, বর্তমানেও আছে। পাশেই ঈদগাঁ মাঠ রয়েছে। কিন্তু মসজিদ কমিটির সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক ও জমিদানকারী মরহুমের ছেলেসহ যোগসাজসে জমিটি অবৈধ ভাবে ৫৪লক্ষ টাকার বিনিময়ে বিক্রির লক্ষ্যে ১৩৬০৭/২০-০৬-২০২২ ইং তারিখে অপ্রত্যাহারযোগ্য পাওয়ার অব এ্যাটর্নি সৃষ্টি করেন উক্ত ব্যাক্তিগণ বিক্রয়কৃত সম্পত্তি আত্বসাতের করেন। এতে করে মসজিদ কমিটির সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক ব্যতিত বাকি সদস্য ও এলাকাবাসী এবং মুসল্লিবৃন্দদের মাঝে ক্ষোভের জন্ম নিয়েছে। তারা জমি ফেরত চেয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। 
এ ব্যাপারে মসজিদ কমিটি ও এলাকাবাসী রহমান, তৈয়বুর রহমান, রবিউল ইসলাম, জাহাঙ্গীর, মজিবর রহমান, আতাউর রহমানসহ কয়েক জন বলেন, আমাদের এলাকার মসজিদের সভাপতি আব্দুস সামাদ, সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক, জমি দাতা মরহুম নেজাম উদ্দিনের ছেলে নবাব উদ্দিন, এলাকাবাসী আনিছুল মিয়া, আনারুল, রবিউল’র সহযোগীতায় অবৈধভাবে জমি বিক্রি করেন। মসজিদের জমিটি হারিয়ে গেলে সেই জমি আর কখনো ফেরত আসবে না। আমাদের জমি কেনার অর্থ প্রয়োগেরও কোন অবস্থান নাই। তাই আমাদের এলাকাবাসীর দাবি মসজিদের জমি আমরা ফেরত চাই। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। তদন্ত সাপেক্ষে আমাদের মসজিদের জমি ফেরত দেয়া হোক।
জমি আত্বসাতের অভিযোগ অস্বিকার করে আনারূল ও রবিউল ইসলাম বলেন, জমির রেকর্ড থাকলেও দলিল না থাকায় আমরা জমিটি বিক্রি করে অন্যখানে জমি দেয়ার জন্য জমি পাওয়ার অব এ্যাটনি দিয়ে বিক্রি করেছি। টাকা নিয়েছি যা মসজিদের ফান্ডে রয়েছে। টাকার কথা শুনে অনেকে গায়ে আগুন লেগে গেছে। তাই তারা বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। 
প্রতিবেদক মসজিদের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক ছাড়া কমিটির সকলে বিপক্ষে কেনো জানতে চাইলে তারা দুজনই প্রসঙ্গ এড়িয়ে যায়।
এ ব্যাপারে ৩২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শামিম বলেন, আমি অবগত আছি, আমাকে অবগত করা হয়েছে। দাতা যদি বেচেঁ থাকতো তাহলে জমি বিক্রি করা সম্ভব হয়তো ছিলো, দাতা যেহেতু মারা গেছে মসজিদের জমি বিক্রি কেমন করে হবে। আমি ব্যপারটা নিয়ে তাদের সাথে কথা বলতেছি। বসে সমাধান করা যায় কিনা দেখি।