পীরগাছায় ছেলের কুকর্মে পিতার আত্মহত্যা

পীরগাছায় ছেলের কুকর্মে পিতার আত্মহত্যা
ছবি: সংগৃহীত

স্টাফ রিপোর্টার ♦ রংপুরের পীরগাছায় ছেলের কুকর্মে লোকলজ্জার ভয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন ফুল চাঁন মিয়া (৬৯) নামের এক পিতা। মঙ্গলবার ভোরে নিজ বাড়ির আঙিণায় আমের গাছের সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। তিনি উপজেলার ছাওলা ইউনিয়নের শিবদেব নয়ারহাট গ্রামের মৃত লাল চাঁন শেখের ছেলে। ছাওলা ইউপি চেয়ারম্যান নাজির হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জানা গেছে, নিহত ফুল চাঁন ওই গ্রামে বসবাস করলেও তিনি মূলত কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার স্থায়ী বাসিন্দা। ৪-৫ বছর আগে তিনি ছাওলা ইউনিয়নের শিবদেব নয়ারহাট গ্রামে বসবাস করে আসছিলেন। তারই বিবাহিত ছোট ছেলে শহিদুল ইসলাম (২৪) সম্প্রতি গভীর রাতে পাশর্^বর্তী মানিক মিয়ার বাড়ির এক নববধূর ঘরে প্রবেশ করে। ওই নববধূর স্বামী ঢাকায় থাকতো। বিষয়টি জানার পর শহিদুল ইসলাম পালিয়ে যায়। এ নিয়ে শালিস-বৈঠকের নামে দীর্ঘ এক মাস ধরে দেনদরবার চললেও কোন সুরাহা হয়নি। গত এক সপ্তাহ আগে স্থানীয় ইউপি সদস্য কামরুজ্জামান ও সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুর রাজ্জাক বিষয়টি সমাধান করে দেবেন বলে জানান। এদিকে গত মঙ্গলবার ওই নববধূর স্বামী বাড়িতে আসলে শহিদুল ইসলামের সাথে তাদের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।

গত সোমবার উভয় ঘটনা নিয়ে শালিস বৈঠকে বসার কথা থাকলেও শহিদুল ইসলাম তা না মানার ঘোষণা দিলে তার পিতা ফুল চাঁন মিয়া স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের কাছে ক্ষমা চান এবং তার ছেলে বিচার মানতে নারাজ বলেন জানান। এ নিয়ে ক্ষোভে দুঃখে মঙ্গলবার ভোরে বাড়ির পাশে গাছের সাথে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন ফুল চাঁন মিয়া। সকালে তার মরদেহ নামিয়ে বাড়িতে রাখা হয়। পরে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, গণ্যমান্য ব্যক্তিদের অনুরোধে মরদেহ দাফনের অনুমতি দেন থানা পুলিশ।  

এ ব্যাপারে পীরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সরেস চন্দ্র বলেন, ওই ব্যক্তি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। এ নিয়ে কারো কোন অভিযোগ না থাকায় মরদেহ দাফনের অনুমতি দেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় একটি ইউডি মামলা দায়ের করা হয়েছে।