রংপুরে আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে জমি দখল, ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ

রংপুরে আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে জমি দখল, ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার ♦ রংপুরে আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে মারপিট, বাড়ি ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছে ওয়াকার্স পার্টির নেতা কাজী মাজিরুল ইসলাম লিটন। মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রংপুর পাবলিক লাইব্রেরী মিলনায়তনে তিনি অভিযোগ করে বলেন, রংপুর নগরীর শাপলা স্টেশন রোডের ৩৮ নম্বর বাসায় ওয়াকার্স পার্টির সাবেক জেলা সাধারণ সম্পাদক মাজিরুল ইসলাম লিটন তার পরিবারকে নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসছেন। বায়না সূত্রে আওয়ামী লীগ নেতা নাজমুল করিম ডলারের বাবা শামসুদ্দিনের কাছে ওই জমি কিনে নেন লিটনের বাবা। পরবর্তীতে আশির দশকে ওই জমি নিজেদের দাবী করে শামসুদ্দিন লিটনের বাবা মফিজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। এ মামলাটি খারিজ করে লিটনের বাবার পক্ষে রায় দেয় আদালত। এরপর শামসুদ্দিন নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে মামলা দায়ের করেন। বর্তমানে সেই মামলাটি বিচারাধীন রয়েছে। এরই মধ্যে গত শনিবার বিকেলে আওয়ামী লীগ নেতা নাজমুল করিম ডলারের নেতৃত্বে সিটি কর্পোরেশনের ওয়ার্ড কাউন্সিলর রফিকুল আলমসহ সশস্ত্র সন্ত্রাসী বাহিনী লিটনের বাড়িতে হামলা চালিয়ে মারধর, ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। এ ঘটনায় আওয়ামী লীগ নেতা ডলার, সিটি কাউন্সিলর রফিকুলসহ ১০ জনকে আসামী করে রংপুর কোতয়ালী থানায় মামলা দায়ের করেছেন লিটন। সংবাদ সম্মেলনে লিটন বলেন, ডলার নামধারী আওয়ামী লীগ। তাকে কখনো রাজপথে দেখা যায়নি। তিনি যদি প্রকৃত জমির মালিক হন, তবে প্রশাসনের মাধ্যমে এসে জমি বুঝে নিতেন। কিন্তু তিনি সন্ত্রাসী কায়দায় আমার বাড়ি দখল করার চেষ্টাসহ ভাংচুর-লুটপাট করেছে। যা একটা ন্যাক্কারজনক ঘটনা। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই। সংবাদ সম্মেলনে জেলা জাসদের (ইনু) সাধারণ সম্পাদক, তারাগঞ্জ হাড়িয়ারকুঠি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কুমারেশ রায়, মহানগর জাসদের সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমেদসহ বিভিন্ন বাম রাজনৈতিক দলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।  এ ব্যাপারে নাজমুল করিম ডলার বলেন, ওই সম্পত্তির ১২ শতক জমি আমরা সুপ্রিম কোর্টের ডিক্রী পেয়েছি। আমার ভবনে ৯ শতক জমি রয়েছে এবং বাকী ৩ শতক জমি তারা অবৈধভাবে দখল করেছে। যা আদালতকে অবমাননা করা হয়েছে। আমি বিল্ডিংয়ের স্বার্থে সেই ৩ শতক জমি বের করে নিয়েছি। তাদের বাসায় টাকা -পয়সা কে ছিনতাই করেছে তা আমার জানা নাই। তাদের কেউ মারপিট করে নাই কিংবা ঘর থেকেও বের করে দেয়নি। এখন তারা মিথ্যা কথা বলছে। 
রংপুর মেট্রোপলিটন কোতয়ালী থানার ওসি মাহফুজার রহমান বলেন, এ ব্যাপারে একটি মামলা হয়েছে। আমরা আসামী গ্রেফতারে তৎপর রয়েছি।