সাংবাদিক নাদিম হত্যা: ইউপি চেয়ারম্যানসহ জড়িতদের ফাঁসির দাবি

সাংবাদিক নাদিম হত্যা: ইউপি চেয়ারম্যানসহ জড়িতদের ফাঁসির দাবি

স্টাফ রিপোর্টার ♦ জামালপুরে সাংবাদিক নাদিম হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুসহ জড়িত খুনিদের ফাঁসির দাবি জানিয়েছে রংপুরের সাংবাদিক নেতারা। একই সঙ্গে নিরাপত্তা নিশ্চিতে ব্যর্থ ওসি পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তেরও আহ্বান জানানো হয়েছে। 

শনিবার (১৭ জুন) সকাল সোয়া ১১টায় রংপুর প্রেসক্লাব চত্বরে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন সমাবেশ থেকে এই আহ্বান জানানো হয়।

প্রেসক্লাব রংপুরের সভাপতি মাহবুব রহমান হাবুর সভাপতিত্বে ঢাকা পোস্টের নিজস্ব প্রতিবেদক ফরহাদুজ্জামান ফারুকের সঞ্চালনায় মানববন্ধন সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, সিনিয়র সাংবাদিক দৈনিক সংবাদের রংপুর প্রতিনিধি লিয়াকত আলী বাদল, দৈনিক মায়াবাজারের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক সুশান্ত ভৌমিক, এনটিভির সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার একেএম মঈনুল হক, চ্যানেল আইয়ের সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার মেরিনা লাভলী, প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বাপ্পী, মাহিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি বাবলু নাগ, রিপোর্টার্স ক্লাব রংপুরের সাধারণ সম্পাদক শাহ্ বায়েজীদ আহমেদ, রংপুর রিপোর্টার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সরকার মাজহারুল মান্নান, রংপুর রিপোর্টার্স ইউনিটির সহ সভাপতি আবুল হোসেন বাবলু, বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশেন রংপুরের সহ সভাপতি আসাদুজ্জামান আফজাল, টেলিভিশন ক্যামেরা জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন-টিসিএ রংপুরের সাধারণ সম্পাদক এহসানুল হক সুমন, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) সাংবাদিক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইভান চৌধুরী।

সময় বক্তারা অবিলম্বে নাদিম হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত দোষীদের গ্রেপ্তারসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে বলেন, যার বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারিসহ সরকারদলীয় সংগঠনের প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ রয়েছে, সেই ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী একের পর এক ছাড় দিয়েছে। এর সুযোগ নিয়েই সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিমকে পরিকল্পিতভাবে পিটিয়ে হত্যা করেছে চেয়ারম্যানসহ তার লোকজন। এর মধ্যদিয়ে প্রমাণ করেছে গণমাধ্যম কর্মীদের স্বাধীনতা আজ বাধার মুখে। এটা সাংবাদিকদের কণ্ঠরোধ করার পায়তারা। আমরা এই হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।

প্রসঙ্গত, বুধবার (১৪ জুন) রাত সাড়ে ১০টার দিকে বকশীগঞ্জ পৌরসভার পাটহাটি এলাকায় হামলার শিকার হন গোলাম রব্বানী নাদিম। সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুর নেতৃত্বে ১০-১২ জন তার ওপর মামলা করে। পরে স্থানীয় এক সাংবাদিকসহ কয়েকজন তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়। রাত দেড়টার দিকে জামালপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সকালে উন্নত চিকিৎসার জন্য মমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার দুপুরে তার মৃত্যু হয়।