রংপুর সিটি নির্বাচন: ৩নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী মাহতাব গৃহহীন

নির্বাচন কমিশনের দেয়া হলফ নামা ঘেটে এ তথ্য জানা যায়।

রংপুর সিটি নির্বাচন: ৩নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী মাহতাব গৃহহীন

স্টাফ রিপোর্টার ♦ রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে নগরীর ৩নং ওয়ার্ডের সাধারণ কাউন্সিলর পদে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন পাঁচজন প্রার্থী। তাদের মধ্যে ঘুড়ি প্রতী নিয়ে নির্বাচনে অংশ নয়া মো.মাহাতাব উদ্দিনের কৃষিজমি থাকলেও তার নামে কোনও বাড়ি নেই। নির্বাচন কমিশনের দেয়া হলফ নামা ঘেটে এ তথ্য জানা যায়।
কাউন্সিলর প্রার্থী মো. মোস্তাফিজুর রহমান টিফিনবাটি প্রতীক নিয়ে লড়ছেন। তিনি অষ্টম শ্রেনি পাশ করে ব্যবসা পেশায় যুক্ত রয়েছেন। তার নামে কোনও মামলা নেই। তিনি বছরে কৃষিখাতে দেড় লক্ষ এবং ব্যবসা করে ২ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা আয় করেন। তার অস্থাবর সম্পদের মধ্যে নগদ দেড় লক্ষ এবং বৈদেশিক মুদ্রা ১ লক্ষ টাকা রয়েছে। এছাড়াও তার ২টি মোটর সাইকেল একটি মাইক্রোবাস এবং তার স্ত্রীর ৩ ভরি স্বর্ণালঙ্কার রয়েছে। স্থাবর সম্পদের মধ্যে মোস্তাফিজুর রহমানের  নিজ নামে কৃষি জমি ৫ একর, অকৃষি জমি ২ একর, দুইটি দোকানঘর এবং একটি পাকা বাড়ি রয়েছে।
আরেক প্রার্থী মো. মাহাতাব উদ্দিন লড়ছেন ঘুড়ি প্রতীক নিয়ে। অষ্টম শ্রেনি পাশ করে পেশা হিসেবে ব্যবসাকে বেছে নিয়েছেন। তার নামে কোনও মামলা নেই। তিনি বছরে ব্যবসাখাতে আয় করেন ২ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা এবং তার নির্ভরশীলরা ব্যবসা করে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা ও চাকুরী করে বছরে ৩ লক্ষ ৮৭ হাজার ১৯০ টাকা আয় করেন। মো. মাহাতাব উদ্দিনের অস্থাবর সম্পদের মধ্যে রয়েছে ১ লক্ষ এবং স্ত্রীর নামে ২০ হাজার টাকা রয়েছে। ব্যাংকে তার নিজ নামে রয়েছে ২০ হাজার এবং স্ত্রীর নামে ১০ হাজার টাকা রয়েছে। এছাড়াও তার একটি মোটর সাইকেল এবং নিজ নামে ৫ ভরি স্বর্নালঙ্কার রয়েছে। মো. মাহাতাব উদ্দিনের স্থাবর সম্পদের মধ্যে অকৃষি জমি রয়েছে দেড় লক্ষ টাকা মূল্যের এবং নির্ভরশীলদের নামে একটি বাড়ি রয়েছে।    
অন্যদিকে মো. আসেক আলী লড়ছেন চামচ প্রতীক নিয়ে। তিনি এসএসসি পাশ করে ব্যবসা পেশায় যুক্ত হয়েছেন। তার নামেও কোনও মামলা নেই। তিনি বছর কৃষিখাতে ৩০ হাজার টাকা এবং ব্যবসাখাতে ২ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা করেন। তার অস্থাবর সম্পদের মধ্যে নগদ ১ লক্ষ, ব্যাংকে ১৫’শ এবং ১০ ভরি স্বর্নালঙ্কার রয়েছে। তার স্থাবর সম্পদের মধ্যে রয়েছে ২ একর কৃষি জমি।
অন্য আরেক প্রার্থী মো. এছমাইল হোসেন লড়ছেন করাত প্রতীক নয়ে। তিনি অষ্টম শ্রেনি পাশ করে ব্যবসা করছেন।  তার নামেও কোনও মামলা নেই। তিনি বছরে ব্যবসা করে ২ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা আয় করেন। তার অস্থাবর সম্পদের মধ্যে রয়েছে নগদ ৫ লক্ষ টাকা, রয়েছে একটি মোটর সাইকেল এবং তার স্ত্রীর ১০ ভরি স্বর্নালঙ্কার রয়েছে। স্থাবর সম্পদের মধ্যে অকৃষি জমি ৩ শতক এবং একটি বাড়ি রয়েছে।
আরেক প্রার্থী মো. মাহবুবার হোসেন বসুনিয়া লড়ছেন ট্রাক্টর প্রতীক নিয়ে। তিনি এম কম পাশ করে ফার্মেসি ব্যবসা করছেন। তার নামে কোনও মামলা নেই।  তিনি বছরে কৃষিখাতে ৫৫ হাজার ৮০ , বাড়িভাড়া থেকে ৩ লক্ষ ১৭ হাজার ৮’শ ৮০, ব্যবসা থেকে ৩ লক্ষ ২৪ হাজার, চাকুরী থেকে ৩ লক্ষ ১৪ হাজার ৬৯১ টাকা আয় করেন। মো. মাহবুবার হোসেন বসুনিয়ার অস্থাবর সম্পদের মধ্যে নগদ ৭০ হাজার এবং ব্যাংকে ৪৯ হাজার ১ টাকা  জমা রয়েছে। তার স্থাবর সম্পদের মধ্যে কৃষি জমি ৪ দশমিক ৫৭ একর, অকৃষি জমি ১২ দশমিক ৮০ শতক, ৮ তলা বিশিষ্ট বাণিজ্যিক আবাসিক দালানের অর্ধেক অংশ রয়েছে। এছাড়াও তার আধাপাঁকা একটি বাড়িও রয়েছে।